প্রথমেই আমরা জেনে নেবো হরমোন কী ?
হরমোন হচ্ছে এক প্রকার রাসায়নিক বার্তাবাহক যা মানব শরীরে উৎপন্ন হয় এবং কাজ করে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেমের মাধ্যমে হরমোন মানব শরীরের বিভিন্ন অর্গান এর মধ্যকার যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এদের মধ্যকার সমন্বয় সাধন করে থাকে। এই হরমোন গুলি মানব শরীরের বিভিন্ন গ্ল্যান্ড হতে নিtসৃত হয়ে থাকে।
হরমোনের আপেক্ষিক গুরুত্ব কী ?
বর্তমান সময়ে যে হরমোনাল সমস্যা গুলি হয় তার কারণ, নির্দিষ্ট সময়ে যে হরমোন শরীরে উৎপত্তি হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি , আবার তার কাজ শেষ করে যে অবশিষ্ট হরমোন নিজে নিজে বিনষ্ট হওয়ার কথা ছিল তা শরীরের মাঝে থেকে যায় ।আমাদের শরীরের সিস্টেম ঠিক না থাকার কারণে হরমোন দেহের মাঝে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এটাই হলো রোগের অন্যতম কারণ।
হিউম্যান গ্রোথ হরমোনঃ
এইচডি এসজিএস শৈশবের শুরু হতে সারা জীবন ব্যাপী মানবদেহের মাথার পিছনে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড হতে এইচএস নিঃসরণ হয় এইচএস নিশ্চয়ই যৌবনা অবস্থায় সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে এবং তারপর প্রতি ১৪বছরের ১৪ শতাংশ কমে যায় । আধুনিক আবিষ্কারের মতে সারা জীবনের জন্য মানব শরীরে HGH হরমোনের প্রয়োনীয়তা রয়েছে HGH অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী সম্পাদন করে।
HGH হরমোনের কাজঃ
১) মাংসপেশিকে ডেভেলপ করে ।
২) ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত কংকাল বর্ধনে সহায়তা করে।
৩) লিভারকে এক্টিভ করে ।
৪) সমস্ত শরীরে সেল বা কোষ রেগুলেটরের কাজ করে।
৫) লিভার এবং শরীরের ফ্যাট বার্ন করে ।
৬) নবজীবন আনয়ণ, চামড়ার পুরুত্ব বৃদ্ধি ,শক্তিশালী কঙ্কাল ও পেশী গঠনে সহায়তা করে।
৭) যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি ও রোগ মুক্তিতে ভূমিকা রাখে।
৮) অন্যান্য গ্লান্ডকে হরমোন উৎপাদন স্টিমোলেট করাসহ বিভিন্ন অর্গান কে তার কাজে সহায়তা করে ইত্যাদি ।
HGH কমে যাওয়ায় যে সকল শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ঃ
১) বার্ধক্যের লক্ষণগেুলি প্রকাশ পায় । কারো কারো ক্ষেত্রে HGH এর নিtসরণ দ্রুত কমে যাওয়ার কারণে অকাল বার্ধক্যে আক্রান্ত হয়,যেমন অকালে চুল দাড়ি পেকে যাওয়া ।
২) HGH এর কার্যক্ষেত্র বিঘ্নিত হয় । ফলে হাড় ক্ষয় জনিত সমস্যা,মুটিয়ে যাওয়া, ফ্যাটি লিভার সমস্যা, বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, অবসাদ উদ্বিগ্নতা যৌন আকাঙ্ক্ষার ঘাটতি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় ।
৩) হৃদপিন্ড ও ফুসফুস কিডনী ও লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
৪) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পায়।
৫) বয়সের সাথে অঙ্গগুলি সংকুচিত হয়ে যায় ।
৬) এছাড়াও অন্যান্য হরমোন নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয়। কেননা HGH ঐ সমস্ত গ্লান্ডগুলোকে হরমোন নিঃসরণে উদ্দীপ্ত করে থাকে।
HGH হরমোন নিঃসরণের প্রয়োজনীয়তাঃ
কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা উপরের গবেষনা থেকেই বুঝতে পেরেছি। রিসার্চ হতে প্রাপ্ত ফলাফল বলে ২০ বছর বয়সে HGH হরমোন নিঃসরণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে এবং প্রতি ১০ বছরে তা ১৪% হারে কমতে থাকে যেহেতু এই হরমোন সেল বা কোষ রেগুলেটরের কাজ করে থাকে সেহেতু HGH হরমোনের ঘাটতি বা কমে যাওয়ার পর অন্যান্য লক্ষণগুলির পাশাপাশি হাড় ক্ষয় জনিত সমস্যা দেখা দেয়। কারণ HGH এর অন্যতম কাজ হল হাড়কে ডেভেলপ করা যাদের ক্ষেত্রে একবারহাড়ক্ষয় সমস্যা তৈরি হয় আমরা দেখি যে তারা আর সে সমস্যা হতে প্রচলিত সব ধরনের চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ্য হতে পারেন না। উদাহরণঃ আমরা প্রতিটি মসজিদে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে দেখতে পাই ,যাদেরকে আমৃত্য এই চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে হয়।
এ ধরনের সমস্যা হতে উত্তরণের একমাত্র উপায় HGH হরমোন নিঃসরণ বৃদ্ধি করা যা রেগুলার প্রসেসের মাধ্যমে ক্ষয় হয়ে যাওয়া হাড়কে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসবে যে বৈশিষ্ট্য তার যৌবন কালে ছিল।
Bio-Technology ম্যাজিক্যাল ফলাফল ডা.রোনাল্ড ক্লটজ তার বইঃ
Grow Young With HGH উল্লেখ করেন ৪ টি Amino Acid যা পিটুইটিারি গ্লান্ডকে HGH Hormone নিঃসরণে উদ্দীপ্ত করে ।
1) Arginine – অতিরিক্ত মেদ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, পেশী সু-সংগঠিত করে এবং কোষের জীবনধারা উন্নত করে ।
2) Ornithine – অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদন উদ্দীপ্ত করে, লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে মেদ কমায় ।
3) Glutamine – কোষের অনুলিপি বৃদ্ধি করে, পেশী সু-সংগঠিত করে ।
4) Lysine – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হরমোন ও এনজাইম বৃদ্ধি করে।
Bio-Technology এর বায়ো স্প্রে প্লাস এ সম্পৃক্ত করা হয়েছে উপরোক্ত চারটি অ্যামাইনো এসিড সহ ২২ প্রকার Amino Acid নিয়মিত ব্যবহারে প্রতিদিন 200 ug HGH নিঃসরণ হয় যা আমাদের জৈবিক বয়স ১০-১৫ বছর পিছনে নিয়ে যায় বা কম মনে হয়। ফলে HGH ঘাটতি জনিত সমস্যা সমূহ দূর হওয়ার পাশাপাশি যৌবনের কোয়ালিটি উপভোগ করা যায়।
নিয়মিত অরিজিনাল বায়ো স্প্রে সেবন করুন
বার্ধক্যে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।
চোখ রাখুন পরবর্তী পোস্টের জন্য ।
হিউমেন গ্রোথ হরমোন HGH এর ইতিহাস t
লেখাটি আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিন।