রা‌গের খারাপ দিকগু‌লি কী কী?

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগের মধ্যে একটি। তবে অতিরিক্ত রাগ সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, অন্যের কাছে অপ্রিয় করে তোলে আপনাকে। শুধু তা-ই নয়, শরীরেও কিন্তু এর বাজে প্রভাব পড়ে।

যাঁদের অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর একটু ভেবে দেখুন, রেগে গেলে কিন্তু আপনার নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে চলে যায়, তাই নয় কি? তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করুন। প্রয়োজনে মনোবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট এভরিডে হেলথ জানিয়েছে রাগ করলে শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে সেগুলোর কথা।

১. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়

অতিরিক্ত রাগ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টানা দুই ঘণ্টা যদি কেউ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকে, তাহলে তাঁর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণে।

২. স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে

অতিরিক্ত রাগ কিন্তু স্ট্রোকেরও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যদি আপনার হুট করে রাগ উঠে যায় এবং তা অনেকক্ষণ ধরে স্থায়ী, তবে দ্রুত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কেননা, এটি মস্তিষ্কের ওপর চাপ ফেলে। এতে মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলো বন্ধ হয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়

আপনি যদি সব সময় রেগে থাকেন বা স্বাভাবিকভাবে আচরণ করতে না পারেন, দেখবেন কেমন যেন দুর্বল লাগছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টানা ছয় ঘণ্টা মন-মেজাজ খারাপ থাকলে বা রেগে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয় শরীরে।

৪. বিষণ্ণতা বাড়ায়

অতিরিক্ত রাগ বা মেজাজ মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা তৈরি করে। কোনো বিষয়ে রেগে গেলে এবং বিষয়টি সমাধান করতে না পারলে আমাদের মধ্যে বিষণ্ণতা তৈরি হয়। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। রাগ দেখিয়ে কিন্তু সমস্যার সমাধান করা যায় না। শুধু শুধু মানুষের কাছে অপ্রিয় হতে হয়।

৫. আয়ু কমিয়ে দেয়

রাগ মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়। গবেষণায় বলা হয়, সুখী মানুষ দীর্ঘদিন বাঁচে। সব সময় ক্ষেপে গেলে বা অল্পতেই রাগ করার প্রবণতা থাকলে আপনি কিন্তু নিজের সুখকেই নষ্ট করছেন।

Leave a Reply