একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির আচরণ কেমন হয় ?

আজকের আলোচ্য বিষয় একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির আচরণ কেমন হয় ?

১. তিনি সর্বদা নিজের মনের সাথে কথা বলেন।

২. চোখে চোখ রাখতে লজ্জা পান না।

৩. কাজে কর্মে উদ্যমী হন।

৪. তিনি কি করছেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারনা রাখেন।

৫. ছোট খাটো কথায় বিভ্রান্ত হন না।

৬. চারপাশের মানুষকে সর্বদা অনুপ্রানিত করেন।

৭. যা কিছুই করেন না কেন তৎপর থাকেন।

৮. কোন কিছু অন্যকে বিশ্বাস করানোর মত যোগ্যতা রাখেন।

৯. যেকোন পরিস্থিতি যৌক্তিকভাবে সামলাতে পারেন।

১০. তার শরীরী ভাষা অন্যদের কাছে তাকে নির্ভরযোগ্য করে তোলে।

১১. অন্যরা তাকে নিয়ে কি ভাবছে তা দ্বারা প্রভাবিত হন না। তিনি শুধু তাই করেন যা তার কাছে যথার্থ মনে হয়।

১২. তিনি তার দায়িত্বকে গুরুত্বের সাথে নেন এবং তা সুচারুরুপে সম্পন্ন করেন।

১৩. সর্বদা ইতিবাচক মানসিকতা রাখেন।

১৪. ক্ষুদ্র ব্যাপারে সময় নষ্ট না করে নিজের উন্নতির জন্যে কাজ করেন।

১৫. সর্বদা হাস্যোজ্জল থাকেন।

আত্মবিশ্বাসী মানুষ যেভাবে চিনবেন ?

আত্মবিশ্বাস আর প্রেরণা একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ দুয়ের সম্মিলনেই সফলতা আসে জীবনে। কিন্তু আমাদের সমাজে গোমড়া মুখে ঘুরে বেড়ানো মানুষেরও অভাব নেই। এদের ভিড়ে আত্মবিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা কম হলেও তাঁদের খুঁজে পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। আত্মবিশ্বাসীদের ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে। সেসব দেখে চিনে নিতে পারেন আপনার আশপাশের আত্মবিশ্বাসীদের। পাশাপাশি নিজের জীবনে সেসবের চর্চায় আপনিও হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী। উইম্যানেটলি ডটকম এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে জানিয়েছে।

শরীরী ভাষা
অনেকেই আছেন যাঁরা সামনে থাকা মানুষটির সঙ্গে কোনো বাক্যবিনিময় ছাড়াই তাঁর সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যান। আত্মবিশ্বাসীরা অন্যদের প্রভাবিত করেন তাঁদের শরীরী ভাষার মাধ্যমে। তাঁরা সাধারণত স্থির স্বভাবের। হাঁটাচলাই করুন বা বসেই থাকুন, তাঁদের শরীরী ভঙ্গিমা দেখেই অন্যরা বুঝতে পারবেন তাঁর বিশেষত্ব। এক দল লোকের মধ্য থেকে সহজেই তাঁকে আলাদা করতে পারবেন আপনি। আত্মবিশ্বাসীরা যখন যার সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন।

সংক্রামক হাসি
আত্মবিশ্বাসী মানুষ জীবনের সব মুহূর্তেই ইতিবাচক থাকেন। এরা খুব একটা ভেঙে পড়েন না। ভালো অনুভূতি এবং নিজের জীবনের হাসি-আনন্দও তাঁর চারপাশে থাকা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করেন আত্মবিশ্বাসীরা। এমনকি অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বললেও এঁরা নিজের আত্মবিশ্বাসটাকে ওই মানুষটির মধ্যে ছড়িয়ে দেন। খুব বেশি মাত্রায় আত্মবিশ্বাসীরা অপরিচিত লোকদের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, হাসতে পারার ক্ষমতাই তাঁদের ইতিবাচক জীবনযাপনে সাহায্য করে। তাই হাসি-খুশি থাকুন। চারপাশের মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করুন। দেখবেন ভেতর থেকে ভালো লাগা কাজ করছে এবং ভালো থাকতে পারছেন।

তাঁরা অন্যের মনে ব্যথা দেন না
আত্মবিশ্বাসী মানুষ আরেকজন মানুষের নেতিবাচক দিক নিয়ে খুব বেশি কথা বলেন না। কারণ তাঁরা নিজেদের নিয়েই থাকেন। বরং তাঁরা প্রিয়জনকে সহযোগিতা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আত্মবিশ্বাসী মানুষ কারোর ব্যাপারে কথা বলার সময় অনেক হিসাব করে কথা বলেন। পেশাগত জীবনই হোক বা ব্যক্তিজীবন, আত্মবিশ্বাসীরা নিজের কাজের বিষয়ে সব সময় মনোযোগী থাকেন।

যোগাযোগের সূতিকাগার
এটা সত্যি যে অপরিচিত কারোর সঙ্গে কথা বলতে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাসীরা এ বিষয়ে উল্টো পথের যাত্রী। তাঁরা মনে করেন, অপরিচিতদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, নতুন কারও সঙ্গে পরিচিত হলে কিংবা কথা বললে নতুন কোনো কাজ সম্পর্কে জানা যেতে পারে। তাই নতুন কারোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর প্রয়োজনে তাঁরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

ভিন্ন কিছু করা
আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি অনেক সময় এমন কিছু করেন যেটা অন্যদের চোখে স্বাভাবিক মনে না-ও হতে পারে। মূল কথা, তিনি আসলে নতুন কিছু করতে মোটেও ভয় পান না। জীবনের জটিল কোনো সময়ে তিনি ভেঙে না পড়ে এমন কিছু করেন যেটি তাঁকে সফলতা এনে দেয়। আত্মবিশ্বাসী মানুষ জানেন এটি অস্বাভাবিক, তবে তিনি এ-ও জানেন, তিনিই সেরা!


অন্যকে মূল্যায়ন করা
নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করতে হলে আত্মবিশ্বাসী মানুষজন যা করেন সেটির চর্চা করুন। আত্মবিশ্বাসীরা অন্য কেউ ভালো কিছু করলে সেটির বাহবা দিতে ভুল করেন না। অন্যের কাজের মূল্যায়ন তাঁরা ঠিকভাবেই করেন।

হাসি মুখে প্রশংসা গ্রহণ
আত্মবিশ্বাসী মানুষ কেউ প্রশংসা করলে হাসি মুখেই তা বরণ করেন। এটি তাঁর স্বভাবে থাকা বন্ধুসুলভ আচরণের প্রকাশ। অনাকাঙ্ক্ষিত কারও কাছ থেকে প্রশংসা পেলে হাসি মুখে সেটা নিতে না পারলেও এ জন্য ধন্যবাদ জানাতে ভোলেন না।

 

1 thoughts on “একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির আচরণ কেমন হয় ?

Leave a Reply