এ দুনিয়ার প্রতিটি মা-বাবা তাদের জীবনে যে সকল স্বপ্ন গুলি পূরণ করতে পারেনা তা প্রায় এক ধরনের মানত করে রেখে দেয় তাদের অনাগত সন্তানদের জন্য। যে তাদের সন্তানরা একদিন মা-বাবার স্বপ্নগুলো পূরণ করবে এই আশা ভরসা নিয়েই প্রতিটি মা তার স্বপ্নের বীজ গর্ভে ধারণ করে দশ মাস দশ দিন অবর্ণনীয় কষ্ট করে নিজের সকল সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে তাদের আদরের সন্তানকে তিলে তিলে মানুষ করার চেষ্টা করেন ।
নতশিরে সালাম ও শ্রদ্ধা জানাই পৃথিবীর সকল স্বপ্নবাজ মা-বাবাকে কারণ তারা স্বপ্ন না দেখলে আপনাকে আমাকে জন্ম না দিলে আজকের আমি , আপনি হতে পারতাম না। এই আদরের সন্তান নিয়ে মা-বাবার শুরু হয় সুন্দর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভালো পড়াশোনা ,ভালো চাকরি ভালো গড়ে বিয়ে দেওয়া হাজারো অব্যক্ত স্বপ্ন পূরণের যুদ্ধ। খেয়ে না খেয়ে একটাই ধ্যান জ্ঞান যে তাদের সন্তানরা পড়াশোনা শেষ করলেই একদিন ভালো চাকরি পাবেন পূরণ করবে তাদের সকল স্বপ্ন ।
তাই সেই ছোটকাল থেকে স্বপ্ন পূরণের যুদ্ধে ভালো স্কুলে ভর্তি যুদ্ধ ভালো কোচিংয়ে পড়াশুনা ভালো টিচার রেখে পড়াশোনার নামে মা-বাবার বেশির ভাগ টাকা পড়াশোনার জন্য খরচ হয়ে যায়। তার বাস্তব উপলদ্ধি বেশিরভাগ মা-বাবারা বুঝতে পেরেছেন বিগত করোনার এই দুই বছরে কারণ কোন ক্লাস বিহীন স্কুল,কলেজ ,কোচিং সেন্টারে বাধ্যতামূলক বেতন দিতে হয়েছে এরকম বাস্তব উপলদ্ধি যাদের হয়েছে তারা লেখাটা পড়ে কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ।
প্রত্যেকটি ছেলে-মেয়ের একটিমাত্র স্বপ্ন তারা কিভাবে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য, একটি স্বপ্নের চাকরি খোಁজার যুদ্ধ সারাক্ষণ একটাই ধ্যান, জ্ঞান কিভাবে একটি ভালো চাকরি পেতে পারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে চাকরির অবস্থা এতটাই করুন একটি পদের জন্য হাজার হাজার প্রার্থী প্রতিযোগিতা করে একটি চাকরি পাচ্ছে না সরকারি চাকরি তো নয়ই বেসরকারি চাকরিতেও এতটাই প্রতিযোগিতা তারপরও লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে ভাইভাতে পাশ করলে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ ছাড়া চাকরি প্রায় হয়েই না ।
চাকরি হলেও কত টাকা বেতন ? তা দিয়ে কি বর্তমান সংসার চালানো সম্ভব ? কোনভাবেই না ছেলে মেয়েরা যখন একই সাথে বেড়ে উঠতে থাকে তাদের মাঝে তৈরি হয় ভালোবাসার সম্পর্ক এ সম্পর্ক গুলো এক সময় থাকেনা শুধুমাত্র চাকরি না থাকার কারণে, ছেলেটির তখন এক মাত্র পরিচয় সে বেকার মেয়ের মা-বাবা একটি চাকুরীজিবী ছেলে দেখে মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয় এভাবে লক্ষ কোটি বেকারের ভালোবাসার কবর রচিত হয়।
তারা হতাশার কারণে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে, এভাবে বেড়ে চলছে কর্মহীন আশাহীন স্বপ্নভঙ্গের মিছিল । মুখ থুবড়ে পড়ছে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন গুলো এই সকল ছেলেরা মেয়েরা বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজের সাথে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র হতাশার কারণে । কর্মহীনতার কারণে চাকরি হলেও তাদের পক্ষে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয় কারণ বিগত দিনের যে পরিমাণ বাবা মাকে পেরেশানি দিয়ে লোন করে লেখাপড়া শেষ করেছে সে টাকা কিভাবে শোধ করবে ? বর্তমান সংসার কিভাবে চলবে ? আগামী দিন কি করে নিশ্চিত করা সম্ভব তাদের ভবিষ্যৎ? যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে শুধুমাত্র বাড়ছেনা, কর্মসংস্থান, চাকরির বেতন । বাড়ছে দুর্বিসহ যন্ত্রনা বেশিরভাগ পুরুষ যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে নিরবে কাঁদে কেউ জানতেও পারল না কত কঠিন যন্ত্রনা সহ্য করতেছে ।
অনেক পুরুষ বাসাতে ফোন করতে ভয় পায় কারন , একটার পর একটা বাজারের লিস্ট বাসা থেকে বলতেই থাকে হার্টবিট বেড়ে যায় বুঝাতে পারেনা এই মুহূর্তে তার কাছে বাজার করার টাকা নেই। পরিবারকে এই যন্ত্রনার কথা বলেই কি লাভ ? পরিবার জানে তাদের চাহিদা পূরণ করাই হলো পুরুষের একমাত্র কাজ। এভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে যন্ত্রনা ভেঙে যাচ্ছে লক্ষ কোটি বেকারের স্বপ্ন
এ থেকে বাঁচার উপায় কি ?
নিজেকে এবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে ব্রিটিশরা 200 বছর আমাদের দেশ শাসন করার পরে একটি বিষয় সবার মাথায় খুব ভালো করে গেঁথে দিতে পেরেছে যে বাঁচার জন্য চাকরি চাই ৯0 শতাংশ মানুষের শুধুমাত্র একটি চাকুরীর জন্য যত ভাবনা কিন্তু হচ্ছে না। আর চাকরি যারা করছেন তারা বৈধভাবে কত টাকা রোজগার করতে পারে ?
সত্যি বলতে বাংলাদেশের বর্তমান দ্রব্যমূল্য ও চাকরির বেতন এটাকে যদি অংক করে দেখা হয় তাহলে হাতের তালুতে হয়তোবা আগুন রাখা সম্ভব হলেও চাকুরীর টাকায় সংসার চালানো কোনভাবেই সম্ভব নয় । তাই যারা স্বপ্ন দেখেন নিজেকে আর পাঁচজনের মতো নয় আলাদা করে এ সমাজে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা এখন বিভিন্ন ভাবে স্বাধীন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন । কারণ তারা তাদের পূর্বপুরুষদের কাজের ধরন দেখে লাইফ স্টাইল দেখে বুঝতে পেরেছেন এভাবে বেঁচে থাকার নাম জীবন নয় ।
তাই তাদেরকে উদ্যোক্তা হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে কর্মসংস্থান নিশ্চিত লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ফেমাস ২৪ নিয়ে এসেছে ই-লার্নিং এন্ড ই- আর্নিং ট্রেনিং প্রজেক্ট। যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে আপনার স্বপ্নের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ । তাই আর দেরি না করে নিয়মিত আমাদের ওয়ার্ল্ড ফেমাস ২৪ ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে জয়েন করে নিয়মিত ট্রেনিং করে আপনার দুঃস্বপ্নকে রঙিন স্বপ্নে পূরুন করুন গড়ে তুলুন স্বপ্নের ক্যারিয়ার ।
লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন
চোখ রাখুন পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য ।