বিশ্ব নবী (সাঃ) মেহেনতি,মজলুম মানুষের বন্ধু
বিশ্ব নবী (সাঃ) এর বয়স তখন ২০ বছর ইয়েমেনের এক ব্যবসায়ী মক্কায় এসে পণ্য বিক্রি করেন কিন্ত মক্কার ব্যবসায়ী তাকে টাকা দিতে চায়না ঠিক তখনি সেই জুলুমের মোকাবেলার জন্য যুবুকদের নিয়ে ( হালাফুল ফুজুল ) গঠন করলেন ,সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে আর সত্যের পক্ষে যারা লড়েন তারাই মুজাহিদ । সকল সত্যের বিরুদ্ধে আর অন্যায়ের পক্ষে যারা লড়েন তারাই জঙ্গি । অধীনস্থদের সাথে কখনোই খারাব ব্যবহার করবেননা।
নেতৃত্বের ০৫ম গুনাবলী।
আমানতদার ও (আল–আমিন) সত্যবাদী হতে হবে ।
বিশ্ব নবী (সাঃ) সকল জাতির কাছে এক কথায় (আল–আমিন) সত্যবাদী একদা বিশ্ব নবী (সাঃ) হাশেমী বংশের লোকদের কে ডেকে বললেন সাদা পাহাড়ের পিছনে এক দল শক্র আসছে তোমরা কি বিশ্বাস করবে? সকলে এক সাথে বললেন যে তোমার কাছে ৪০ বছরের জীবনে কখনো একটাও মিথ্যা কথা শুনিনাই তুমি (আল–আমিন) সত্যবাদী তাই তুমি যা বলবে আমরা তাই বিশ্বাস করব এর চেয়ে বড় সার্টিফিকেট আর কি হতে পারে?
বিশ্ব নবী (সাঃ) এর আমানতদারীতা দেখে মা খাদিজা বিশ্ব নবী (সাঃ) কে বিবাহ করেছেন। বিশ্ব নবী (সাঃ) যখন মদিনায় চলে যায় তখন তাঁর ঘরে আমানতের মাল বুঝাই ছিল সকল কে তা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য (আলি রাঃ) কে দায়ীত্ব দিলেন তিন দিন লেগেছিল সেই আমানত বুঝিয়ে দিতে।
অযোগ্য লোককে দায়ীত্ব দিলে আমানতের খেয়ানাত হবেই ।
নেতৃত্বের ৬ষ্ঠ গুনাবলী।
কর্মীদের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে তা গ্রহন করতে হবে। (অশাবেরহুম ফিল আমরি ফায়েজা আজামতা ফাতাঅক্কাল আলাল্লাহ) গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত সবার সাথে পরামর্শ করে নিবেন ও আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে ।
বদর যুদ্ধে বিশ্ব নবী (সাঃ) তাবু খাটাতে বললেন,তখন হাব্বাব এবনে মনজের (রাঃ) বললেন– ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এখানে তাবু খাটানো কি আল্লাহর নির্দেশ? বিশ্ব নবী (সাঃ) বললেন না, তখন হাব্বাব এবনে মনজের (রাঃ) বললেন ঐ কুয়ার ওখানে তাবু খাটান কারন বৃষ্টি হলে আমরা পানি খেতে পারবো ,সাথে সাথে বিশ্ব নবী (সাঃ) সেই মতামত মেনে নিলেন।
খন্দকের যুদ্ধে– পরিখা খনণের সময় রোম শহর থেকে ছুটে আসা ছালমান আল–ফারসি (রাঃ) বললেন মদিনার চারো দিকে পরিখা খনণের জন্য, সাথে সাথে বিশ্ব নবী (সাঃ) সেই মতামত মেনে নিলেন।
বিরোধ নিস্পত্বি করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
কোথাও কোন গন্ডগোল দেখাদিলে (নবী সাঃ) বলতেন আরে আমাকে নিয়ে যাও কাবা ঘরের পাথর রাখা নিয়ে ৪ গোত্রের মাঝে চরম গন্ডগোল দেখাদিলো কে রাখবে ঐ পাথর । সবাই বললো আগামি কাল ফজরের নামাজে সবার আগে যে আসবে সেই সমাধান করবেন পরের দিন ফজরের নামাজে সবার আগে বিশ্ব (নবী সাঃ) আসলেন সব শুনে একটা চাদর এনে চাদরের মাঝ খানে হাজরে আসওয়াত এর পাথর রেখে ৪ গোত্রের ৪ নেতা চাদরের ৪ কোনা ধরে বিশ্ব (নবী সাঃ) কাবা ঘরে হাজরে আসওয়াত এর পাথর ¯হাপন করলেন কোন গন্ডগোল ছাড়া সবাই কে খুশি করে ।
মানব কল্যাণে মধ্যস্থতা করার যোগ্যতা থাকতে হবে।
আমরা ১ম পর্ব, ২য় পর্ব ও ৩য় পর্বে কোরআন হাদিসের আলোকে নবী করমি (সাঃ) এর জীবন থেকে নেওয়া যে লিডারশীপের গুনাবলি জানতে পারলাম তা যদি আমাদের বাস্তব জীবনে সামান্যতম মেনে চলতে পারি তাহলে আমাদের জীবন ধন্য হয়ে যাবে বদলে যাবে মানুষের ভাবনা,ব্যবহার কথা মানবিক আচারন সমাজের সব জায়গায় বইবে শান্তির সু বাতাস আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই কথা গুলো মেনে চলার তৌফিক দান করুন আমিন ।
বিশ্ব (নবী সাঃ) এর উল্যেখিত নেতৃত্বের ০৭টি গুনাবলী আমাদের জীবনে মেনে চললে দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় জায়গায় সফলকাম হব ইন্শা আল্লাহ। আমি অধম গুনাগার (কোরআন হাদিসের আলোকে লিপারশীপ) ৩ পর্বে অতিসামান্য আলোচনা করলাম আলোচনায় ভুলক্রটি নিজ গুনে মার্জনা করবেনআমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমি যেন আপনাদের খেদমতে আরো শিক্ষনীয় লেখা লেখতে পারি আল্লাহ যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন আমিন ।