বিশ্ব নবী (সাঃ) জীবনের বাঁধা সমূহ ঃ–
পৃথিবীর সব চাইতে বেশী পরীক্ষা বিশ্ব নবী (সাঃ) কে দিতে হইছে
০১.বিশ্ব নবী (সাঃ) কে (পাগল) বলেছেন ওহুদের ময়দানে দান্দান মোবারক শহীদ করেছেন।
০২. বিশ্ব নবী (সাঃ) কে তিরস্কার করে কবি বলতেন ।
০৩. বিশ্ব নবী (সাঃ) কে তিরস্কার করে গণক বলতেন ।
০৪. বিশ্ব নবী (সাঃ) কে তিরস্কার করে লেজ কাটা নির্বংশ বলতেন ।
০৫. বিশ্ব নবী (সাঃ) কে মক্কায় নামাজে সিজদার সময় পিঠে উটের পঁচা নাড়ি ভুঁড়ি চাপিয়ে দিতেন।
০৬. বিশ্ব নবী (সাঃ) ০৩ বছর (সিয়াবে) আবুতালেবের জেল খানায় বন্দি ছিলেন
০৭ বিশ্ব নবী (সাঃ) তাঁর অনুসারী সহ ০৩ বছর সামাজিক ভাবে বয়কট ছিলেন।
১ম বছর ছাগলের গোস্ত খেলেন।
২য় বছর ছাগলের চামড়া খেলেন।
৩য় বছর গাছের লতা পাতা খেয়ে বেঁছে ছিলেন।
আল্লাহ্ বলেন–(অ–ইজিবতালা ইব্রাহিমা রব্বুহ বিকালিমাতিং ফায়াতাম্মাহুন্না কলা ইন্নি জায়িলুকা লিন্নাছি ঈমামা) ও নবী স্মরণ করেন সেই সময়ের কথা যখন আমি (ইব্রাহিম আঃ) কে পরীক্ষা করে ছিলাম সে সফলতার সাথে সবকটি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হইয়েছেন আর সেই কারনে আমি (ইব্রাহিম আঃ) কে পুরস্কার হিসাবে (জাতির পিতা) বানিয়ে দিলাম। গোটা বিশ্বের মানুসের ঈমাম বানিয়ে দিলাম।
আমি (ইব্রাহিম আঃ) কে যত গুলি পরীক্ষা করে ছিলাম সে সফলতার সাথে সব কটি পরীক্ষায় পাশ করেছেন।
০১.আগুনের পরীক্ষা ।
০২.নমরুদের পরীক্ষা ।
০৩.কাবা ঘরের দায়ীত্বের পরীক্ষা।
০৪.ঈসমাঈল আঃ (নিজের ছেলেকে ) কোরবাণীর পরীক্ষা।
০৮. বিশ্ব নবী (সাঃ) মক্কা থেকে ৮০ কিঃ মিঃ পথ পারি দিয়ে তায়েফে গেলেন আর তায়েফের সেই করুন কাহিনি পাথরের বৃস্টি রক্তাত্ব বিশ্ব নবী (সাঃ) এর দেহ মোবারক।
০৯. বিশ্ব নবী (সাঃ) হিয্রত করেছেন মক্কা থেকে মদিনায় সে খানে খাইবারে বিশ্ব নবী (সাঃ) এর খাবারে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে ছিলেন (ব্লাক ম্যাজিক) জাদু টোনা করেছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিষের যন্ত্রণা ভোগ করেছেন।
পুরুষের ১ ফোটা বির্যে ২০ কোটি শুকরানু না থাকলে সন্তান জন্ম নেয়না সেই ২০ কোটির মধ্যে ১ টা শুকরানু আমি /আপনি যখন হাত,পা,মাথা, বিদ্যা,বুদ্ধি,মামা,খালু কোন আপনজন ছিলনা তখনো আমি /আপনি বিজয় হয়েছিলাম, আল্লাহর ইচ্ছায় । তাই পৃথিবীতে জানান দিতে হবে তুমি পৃথিবীতে এসেছো তুমিও কম শক্ত নয়? তুমি যে কোন সমস্যার মোকাবিলা করতে পারো ইন্শা আল্লাহ।
নেতৃত্বের ৩য় গুনাবলী
নেতৃত্বের ৩য় গুনাবলী– অসাধারণ বক্তব্য দেওয়ার গুনাবলী থাকতে হবে ।সহি মুসলিম শরীফের বর্ণনায় (জাওয়াইমূল কালিম) বলেছেন নবী (সাঃ) কথা গুলো ছোট এর আবেদন অনেক বড়, নবী (সাঃ) এর কথা মানুষের হৃদয়ে গেঁথে যেতো। বলতেন কম অর্থ বেশী নবী (সাঃ) গুরুত্ব পূর্ন কথা বুকে হাত দিয়ে ৩ বার বলতেন, যেমন একবার ত্বাকওয়ার বর্ণনা করতে ছিলেন তখন আত্বাকওয়া হাহুনা
৩ বার বলেছেন কখনো আবেগ জরিত হয়ে নিজে কান্না করতেন সাথে সবাই কান্না করতেন /
কখনো জেহাদি ভাষণ দিতেন সেনাবাহিনীর কমান্ডারের মত তখন নবী (সাঃ) এর চেহারা মোবারক লাল হয়ে যেতেন।
আমরা ১ম পর্ব ও ২য় পর্বে কোরআন হাদিসের আলোকে নবী করমি (সাঃ) এর জীবন থেকে নেওয়া যে লিডারশীপের গুনাবলি জানতে পারলাম তা যদি আমাদের বাস্তব জীবনে সামান্যতম মেনে চলতে পারি তাহলে আমাদের জীবন ধন্য হয়ে যাবে বদলে যাবে মানুষে ভাবনা,ব্যবহার কথা মানবিক আচারন সমাজের সব জায়গায় বইবে শান্তির সু বাতাস আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই কথা গুলো মেনে চলার তৌফিক দান করুন আমিন ।