চাকুরী করে কি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব ?

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ?

আজকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব, বিষয়ের নাম ইতিমধ্যেই  আপনারা দেখতে পেয়েছেন  চাকুরী করে কি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব ?

আসুন জেনে  নিচ্ছি  কেনো চাকুরী করে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব না

আমরা প্রত্যেকেই জানি আমাদের মৌলিক চাহিদা কি কি এখানে অনেকেই একটি বড় ভুল করে থাকেন মৌলিক চাহিদা বলতে শুধুমাত্র অন্ন,বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসাকেই আমরা বুঝে থাকি।

চাহিদা বলতে আমরা সর্বপ্রথম দুই প্রকার জেনে থাকি এক, নাম্বার হলো মৌলিক চাহিদা, দুই, নাম্বার হলো স্বপ্নপূরণের চাহিদা। এবার আমরা জানবো, মৌলিক চাহিদা কাকে বলে অন্ন, বস্ত্র ,বাসস্থান ,শিক্ষা ,চিকিৎসা ,বিনোদন এগুলো কেই আমরা বলে থাকি মৌলিক চাহিদা।

পূর্বের আলোচনাতে আমরা দেখতে পেয়েছি আমাদের মধ্যবিত্ত একটি চারজনের পরিবার শহরকেন্দ্রিক বিশেষ করে ঢাকা শহরে থাকতে হলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রতিমাসে ন্যূনতম খরচ হয় ।

তাহলে দেখা যাচ্ছে হাজারো প্রতিযোগিতা করে সোনার হরিণ নামক একটি চাকরি পেলে চাকুরীর  শুরুতেই এত টাকা উপার্জন করা কোনভাবেই সম্ভব নয় ।

যেখানে আমাদের পক্ষে মৌলি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয় সেখানে কিভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে বিষয়টি অনেক চিন্তার বিষয় জীবনের বাস্তবতা দিয়ে ভেবে দেখবেন ।

এ বিষয়গুলো নিয়ে আজকে কথা বলব কেন চাকরি করে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা তার অন্যতম কারণ গুলি যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি তাহলে খুবই সহজ হবে আমাদের স্বপ্নপূরণ করা।

কেন আমাদের চাকরি করে স্বপ্ন পূরণ হয়না তার অন্যতম কারণগুলির মধ্যে আমি আজকের লেখাতে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ ।

০১. নাম্বার  কারণ যেহেতু লেখাপড়া চলাকালীন অথবা লেখাপড়া শেষ করার পর দীর্ঘদিন বেকার থেকে যখনই কোন ছেলে মেয়ে একটি চাকরি পায় তখন তার ওই প্রতিষ্ঠান চাকরি করার জন্য থাকে শিক্ষানবিশকাল ধাপে ধাপে কাজ করতে করতে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার পর অনেক প্রতিকূলতার মাঝে তাকে পদোন্নতি পেতে হয় ।

এই সময়টাতে বেতন তেমন প্রত্যাশিত থাকেনা কিন্তু বেতন খরচ করার অনেকগুলি জায়গা থাকে।

০২. নাম্বার কারন দীর্ঘ জীবনে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি বিরাট অংশ টাকা ঋণ নিয়ে লেখাপড়া করতে হয় মধ্যবিত্তদের কথাই বলছি চাহিদা পূরণ করতে হয় নিজেকে তৈরি করতে হয় ঋণ পরিশোধ করতে হয় তাই সঞ্চয় করা মোটেও হয়ে ওঠে না ।

০৩. নাম্বার  কারণ  আস্তে আস্তে দেখা যায় বাবা-মা ভালোবাসার মানুষ তারা চাপ প্রয়োগ করতে থাকে বিয়ে শাদী করার জন্য , দেখা যায় যে চাকরির ২/৩ বছর যাওয়ার পরেই তাকে বিয়ে করতে হয় ,আর সেটা তার জন্য  মোটামুটি একটি ভালো অংকের  টাকা খরচ হয়ে যায় অনেক অফিস থেকে এডভান্স লোন করে ,বাবা-মা বা আরো অন্য ভাবে বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠানটা হয়ে যায় ।

বেশির ভাগ পুরুষের মাথার উপর থাকে লোনের বোঝা , আর মনে থাকে অনেক স্বপ্ন এরপরে আমরা আরও দায়িত্ব নিয়ে চাকরি করতে থাকি চোখে স্বপ্ন অনেক কিছু করতে হবে গাড়ি-বাড়ি করতে হবে সন্তান নিতে হবে এভাবেই চলতে থাকে আমাদের একের পর এক স্বপ্ন বোনা।

 

৪. নাম্বার  কারণ শুরু হয় নতুন এক অধ্যায় এবার দেখা যায় যারা চাকরি করে তাদের অনেকেই ফ্যামিলি নিয়ে নতুন বাসা ভাড়া নিয়ে শুরু করতে হয় নতুন জীবন সেখানেও দরকার ভালো অংকের  টাকা।

 

৫.নাম্বার  কারণ স্বামী-স্ত্রী বাবা-মা পরিবার সবাইর  মুখেই একটাই কথা একটি বাচ্চা না নিলে কি হয় ? সাথের বন্ধু-বান্ধব তাদের ছেলে মেয়ে অনেক বড় হয়ে গিয়েছে, তাই বেশির ভাগ পরিবার   বাচ্চা নিয়ে থাকেন, বর্তমান যুগে সত্যি জানেন ছোট বেবি পৃথিবীতে আসার আগেই মোটা অঙ্কের একটি টাকা খরচ করতে হয়, বাচ্চাদের বেশিরভাগই এখন সিজার করতে হয় নরমাল ডেলিভারি এখন খুবই কম হয় এটাই  এখনের বাস্তবতা।

৬.নাম্বার  কারণ শুরু হয় নতুন করে দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে বাচ্চা লালন পালন করার যুদ্ধ এরই মধ্যে হয়তোবা দুই-একটি পদোন্নতি ও হয়ে যায় যে পরিমাণ বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পায়,

তা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ও নতুন শিশুকে লালন পালন করতে গিয়ে তার থেকেও অনেক টাকা বেশি খরচ হয়ে যায় ।

৭.নাম্বার  কারণ  এখানে একটা বিষয় একটু চিন্তা করে দেখুন তো যে টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে তার থেকে অনেক বেশি খরচের খাত তৈরি হয়েছে এভাবেই চলতে থাকে একটার পর একটা পদোন্নতি আমাদের সংসারে একের পর এক বাজেট বাড়তেই থাকে ।

৮.নাম্বার  কারণ ওই শিশুটিকে এবার নার্সারিতে ভর্তি করান  আপনাকে আমাকে যেভাবে আমাদের পিতা মাতা যুদ্ধ করে মানুষ করেছে  ঠিক একই ভাবে আপনার-আমার সন্তানদেরকে মানুষ করার জন্য আমাদের বাড়তি টাকা সঞ্চয় করার কোনো সুযোগ থাকে না।

 

তাই চাকরি করে হয়তো অনেক কষ্টে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা গেলেও  আমাদের স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যায় তা আর পূরণ হয়না।

বোবায় যেমন স্বপ্ন দেখে মনের দুঃখ মনেই থাকে চাকরিজীবীর একই অবস্থা ।

 

এভাবেই একদিন আমাদের পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় এটাই একজন চাকরিজীবী বাস্তব স্বপ্নভঙ্গের জীবন ।

তাই বলবো আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি আপনার স্বপ্নগুলো  পূরুণ করতে চান তাহলে এক মুহূর্ত দেরি না করে ওয়ার্ল্ড ফেমাস ২৪ আপনাদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছে পার্ট টাইম কাজ করার।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন ইনআল্লাহ।

আশা করি এই লেখার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন কেন আমাদের চাকুরী করে স্বপ্ন পূরণ করা কখনই সম্ভব নয় ?

ওয়ার্ল্ড ফেমাস ২৪ এ পার্ট টাইম কাজ করুন আপনার স্বপ্ন পূরণ করুন ।

লেখাটি ভালো লাগলে আপনার টাইম লাইনে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দেন।

পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য চোখ রাখুন সকলকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply