চাকুরী বনাম দলগত কাজের পার্থক্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন ?

আজকে আপনাদের সাথে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা করব তাহলো

চাকুরী ও দলগত কাজ এর মধ্যে পার্থক্য কি ?

আমরা আমাদের জীবনের সবথেকে বেশি সময় ব্যয় করি লেখাপড়া শেষ করার পর  চাকরি হলো ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত  চাকরি করতে হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাকরি আমাদের জন্য সোনার হরিণ ।

আজকে আমরা দেখব  চাকুরী বনাম দলগত কাজ এর সুবিধা আমরা সকলেই জানি ইনকাম ২ প্রকার এক নাম্বার অস্থায়ী ইনকাম, দুই নাম্বার স্থায়ী ইনকাম,

যাকে মার্কেটিং এর ভাষায় বলা হয়  অ্যাক্টিভ ইনকাম এবং প্যাসিভ ইনকাম ।

অ্যাক্টিভ  ইনকাম  হলো আপনি যতক্ষণ কাজ করবেন ততক্ষণ ইনকাম পাবেন প্যাসিভ ইনকাম আপনি একটি সময় পর্যন্ত কাজ করার লক্ষ্যে একটি চমৎকার দল তৈরী করে তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন,

এরপর আপনি যদি কাজ নাও করেন আপনার দল  নিয়মিত কাজ করতে থাকবে আর সেখান থেকে আপনি একটি চমৎকার প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন যাকে আমরা স্থায়ী ইনকাম বলে থাকি।

চাকুরী বনাম দলগত কাজ এর মধ্যে বড় পার্থক্য তুলে ধরা হলো ।

মনে করেন  আপনি একটি এক্স নামক মার্কেটিং কোম্পানীতে চাকুরী করার জন্য ইন্টারভিউ দিলেন আপনাকে বলা হলো আপনার বেতন  ১০,০০০ ( দশ হাজার ) টাকা কোম্পানী আপনাকে শিক্ষানবিস হিসেবে একটি টার্গেট দিয়েছে  প্রথম মাসে ০৩ পিস, দ্বিতীয় মাসে ০৪ পিস , তৃতীয় মাসে ০৫ পিস, এভাবে তিন মাস পরে প্রতিমাসে ১০ পিস প্রোডাক্ট সেল করকত হবে ।

নিচের চিত্র টি মন দিয়ে দেখলে বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে।

আপনার সাথে ওই একই কোম্পানীতে অনেকগুলো লোক কাজ শুরু করেছেন আপনি হঠাৎ করে প্রথম মাসেই তিনটা টার্গেট থেকে আপনি ৩০ টি প্রোডাক্ট সেল করেছেন।

কোম্পানী আপনাকে অভিনন্দন জানালো এবং জানতে চাইল আপনি কিভাবে প্রথম অবস্থাতে এত বেশি প্রোডাক্ট সেল করেছেন ?

আপনি সুন্দর করে  বললেন আমি প্রথমে প্রোডাক্ট নলেজ গ্রহণ করেছি, প্রোডাক্টটি আমি নিজেই ব্যবহার করেছি ,তৃতীয়তঃ আমি যখন উপকার পেয়েছি তখন আমার আমার আত্মবিশ্বাস দেখে  আমার পরিবার,আত্মীয়,পরিচিতরা  প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছে ।

আমি সুন্দর ভাবে এই প্রোডাক্ট এর গুনাগুন মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারছি  তাই আমার দশগুণ সেল বেড়ে গিয়েছে।

কোম্পানী আবারও আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চমৎকার প্রস্তাব দিলেন আপনাকে বললেন আজ থেকে আপনি আমাদের কোম্পানির ট্রেইনার হিসেবে কাজ করবেন  ।

আপনার বেতন (৭,০০০ ) সাত হাজার  টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হল এবং প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট হিসেবে আরো ১,০০০ টাকা আপনার  মোট বেতন (১৭,০০০) সতেরো হাজার টাকা ।

আপনি মহা খুশি মনের আনন্দে ওই কোম্পানীর ১০০ জন কর্মী কে আপনি ট্রেনিং করালেন কি ভাবে সেলস বাড়ানো যায় ?

সেলসের কলাকৌশল সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন , তারা আপনার কথামতো কার্যক্রম শুরু করলো ফলাফল প্রত্যেকেই যার যা টার্গেট ছিল তার ১০ গুণ বেশি সেল করছে কোম্পানী মহা খুশি ।

নিচের চিত্র টি মন দিয়ে দেখলে বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে।

এবার একটু চিন্তা করে দেখুন কোম্পানীর সেল বাড়ছে  ১০ গুণ আপনাকে বাড়তি ট্রেইনার হিসেবে মাত্র ৭,০০০ টাকা দেওয়ার মাধ্যমে এটাই হলো  চাকুরী আপনি যতই পরিশ্রম করেন বেতন বাড়বে মালিকের ইচ্ছার উপর।

এবার আমরা দেখব আপনার বন্ধু ওয়াই নামক কোম্পানীতে একজন দল নেতা  হিসাবে ইন্টারভিউ দিলেন  শুরুতেই তাকে  বলে দেওয়া হলো এখানে কোনো বেতন নেই । আপনি আমাদের কোম্পানিতে যত বেশি শ্রম ততো বেশি আয় করতে পারবেন ।

যেমন আপনি যদি একা একা কাজ করেন তাহলে আমাদের প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য  আপনাকে ১,০০০ টাকা করে কমিশন দেওয়া হবে ।

এবার যদি আপনি একটি সেলসের দল তৈরি করে সেল করেন তাহলে যতগুলি প্রোডাক সেল হবে ( সবাইর কমিশন দেওয়ার পরে )  আপনাকে কোম্পানি ১০০০ (এক হাজার ) টাকা করে এক্সট্রা কমিশন প্রদান করবে ।

এবার এক্স কোম্পানীতে যেভাবে আপনি সবাইকে ট্রেনিং করাই ছিলেন একই নিয়মে  আপনার বন্ধু প্রথমে কষ্ট করে একটা ০৩ জনের  দল তৈরী করলো ওই ০৩ জন প্রত্যেকেই ০৩ জনের একটা করে দল তৈরী করলো ।

মোট ১৩ জনের ০১ টি সেলসের দল গঠন করে  মনোযোগ সহকারে সে  দলকে প্রোডাক্ট নলেজ, সেলস টেকনিক, উপস্থাপনা, কিভাবে করতে হয় সকল বিষয় তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে  শিখিয়ে দিলেন কারণ তারা কাজ করলেই সে  ইনকাম পাবেন।

নিচের চিত্র টি মন দিয়ে দেখলে বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে।

এবার দেখি আপনার বন্ধুর প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর দলের মাধ্যমে ওই কোম্পানীতে ৩০০ টি প্রোডাক্ট  সেল হয়েছে যেহেতু তাকে প্রত্যেকটা সেল থেকে এক হাজার করে টাকা কমিশন দেওয়ার কথা তাই  তার ইনকাম ১০০০  X ৩০০ =৩,০০,০০০  তিন লক্ষ টাকা । এক্স কোম্পানীতে আপনি মাসে ৩০০ প্রোডাক্ট সেল  বেতন পেলেন  ১৭,০০০ হাজার টাকা ।

ওয়াই কোম্পানী আপনার বন্ধু  ওয়াই কোম্পানীতে নিজে একটি প্রোডাক্ট সেল না করেও ১৩ জনের একটা সেলস দল তৈরী করে  কমিশন পেয়েছেন তিন লক্ষ টাকা

এবার আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি চাকুরী করে ১৭ হাজার টাকা বেতনে মাসে ৩০০  প্রোডাক্ট সেল করবেন ?

নাকি কমিশনের মাধ্যমে দল গঠন করে ৩০০ সেল করে তিন লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন ?

এখন ভাবছেন এরকম সুযোগ আপনি কোখায় পাবেন, আপরান তো কোনো  অভিক্ষতা  নেই, আমি কোথায় তক ভাবে কাজ করবো ?

আপনি এমন একটি চমৎকার সুযোগ পেতে পারেন ওয়ার্ল্ড ফেমাস২৪ এর মাধ্যমে

আর দেরি না করে আপনি ওয়ার্ল্ড ফেমাস২৪ এ যোগাযোগ করুন আপনার স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন ।

ভালো লাগলে আপনার টাইম লাইনে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য।

পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য চোখ রাখুন ।

1 thoughts on “চাকুরী বনাম দলগত কাজের পার্থক্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

Leave a Reply