মনে করেন যে, আপনার ডার্ক ওয়েব মনিটরিং টুল থেকে একটি ইমেইল আসছে। এবং এটিতে লেখা আছে যে, আপনার পরিচয় পত্র গুলোর মধ্যে একটি ডার্ক ওয়েবে খুঁজে পাওয়া গেছে। যদি এ ধরনের ঘটনা সত্যিই ঘটে তাহলে আপনি কী করবেন? অবশ্যই ভাববেন যে, ডার্ক ওয়েবে পরিচয় পত্রটা গেল তো গেল, কিন্তু কীভাবে গেল?
ডার্ক ওয়েবে আপনার কোন ইনফরমেশন পাওয়া গেলে এটা নিশ্চিত যে, কেউ না কেউ আপনার ইনফরমেশনে অনুমতি ছাড়াই অ্যাক্সেস করেছে। নরমালি, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন কোম্পানির ডাটাবেইজ সিস্টেমে অ্যাক্সেস করে এবং তথ্য চুরি করে। তারপর সে চাইলে সেটা কোন ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করে অথবা কারো কাছে বিক্রি করে। আর সাইবার জগতে, এধরণের ঘটনাকে ডেটা লিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণত, হ্যাকাররা বা সাইবার অপরাধীরা দুটি উপায়ে তথ্য চুরি করে থাকে। যেমন- ম্যালওয়্যার ফিশিং এবং ATM Gas Skimmers। এই দুটি মূলত প্রতারণার এক একটি ধরন। ফিশিং আক্রমণে আপনার কাছে একটা অরিজিনাল এর মতো নকল ইমেইল বা লিংক আসবে, যেখানে ক্লিক করে লগ-ইন করলেই সাড়ে সর্বনাশ। এবং ATM Gas Skimmers একটি ATM কার্ড এর মতো একটি কার্ড রিডার যেটা কখনো কখনো ছদ্মবেশীও হতে পারে। তবে এটি ডিভাইস এ সংযুক্ত করার সাথে সাথে অটোমেটিক ইনফরমেশন চুরি করে থাকে। যা পরে অন্যান্য কার্ডে প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে বর্তমানে এ দুটি উপায় ছাড়াও, হ্যাকারদের কাছে আর বিভিন্ন উপায় আছে, যেগুলোর মাধ্যমে তারা আপনার তথ্য চুরি করতে পারে।