ডার্ক ওয়েব মনিটরিং হল ইন্টারনেট এর ডিপ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হওয়া সংবেদনশীল ইনফরমেশন যেমন- ইমেইল অ্যাড্রেস, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডি-টেইলস ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর ইত্যাদি অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া যা ডার্ক ওয়েব মনিটরিং টুলস এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষিত হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় অটোমেটিক ভাবে। এক্ষেত্রে তথ্য গুলো ব্যক্তিগত, ব্যাবসায়িক এবং প্রাতিষ্ঠানিকও হতে পারে।
ডার্ক ওয়েবে যদি আপনার নম্বর, ইমেইল ঠিকানা বা অন্যান্য সংবেদনশীল সনাক্তকারী ইনফরমেশন পাওয়া যায়, তাহলে প্রথমে আপনাকে সতর্ক করা হয় বা প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুযোগ দেয়া হয়। তো, এক্ষেত্রে আপনি আপনার ফাঁস-কৃত পাসওয়ার্ড গুলো পরিবর্তন করতে পারবেন এবং ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড এর বিষয় হলে ব্যাংক এ জানিয়ে এটি চেঞ্জ করতে পারেন।
ডার্ক ওয়েব মনিটরিং টুলগুলো বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য যেমন- ইমেইল অ্যাড্রেস, ফোন নম্বর, সোশিয়্যাল সিকিউরিটি নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও পাসপোর্ট নম্বর ইত্যাদি ডার্ক ওয়েবে স্ক্যান করে এবং ফলাফল প্রদান করে।
আপনার ব্যক্তিগত এসব সংবেদনশীল তথ্য গুলো ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হলে বা চুরি হয়ে গেলে তা ডার্ক ওয়েবের ফোরামে লেনদেন হয়। এটা হতে পারে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে অথবা বিনামূল্যে। তবে এসব ফাঁস হওয়া তথ্য গুলো, ডার্ক ওয়েবের দৈনন্দিন ব্যবহারকারীর কাছে থেকে লুকানো হয়। ফোরাম হল বাজারের মতো একটা জায়গা যেখানে ডেটার লেনদেন হয়। অর্থাৎ অনলাইন বাজার। আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো ফাঁস হয়েছে কী না তা নিশ্চিত ভাবে বলা কঠিন।
কারণ, এ ঘটনার দায়বদ্ধতা পুরোটাই আপনার নিজের এবং আপনার ডেটা ধারণকারী কোম্পানি গুলোর উপরে পড়ে। আসল কথা হচ্ছে, বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের খ্যাতি ও আয় বজায় রাখার জন্য তথ্য ফাঁস করার পরেও বলে যে আমরা কিছু করি নি। অর্থাৎ, অর্থের বিনিময়ে এই কোম্পানি গুলো আপনাকে এবং বাদবাকি ইউজারদের এক সাথে ধোঁকা দেয়। তাইতো বর্তমান সময়ে, সিকিউরিটি ওয়েবসাইটে তথ্য লিকে-জের রিপোর্ট গুলো অতীব সাধারণ ঘটনা।
যাইহোক, আপনাকে ডার্ক ওয়েব নিয়ে অতটা না ভাবলেও চলবে। কারণ ডার্ক ওয়েব মনিটরিং টুল এবং অন্যান্য সার্ভিস গুলো আপনার তথ্য ডার্ক ওয়েব ফাঁস হয়েছে কী না সে সম্পর্কে আপনাকে জানাতে সক্ষম। এরপর আপনি চাইলে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।