আলচ্য সিষয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর পদ্ধতি গুলি কি কি ?
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ একজন সফল মার্কেটার হতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পদ্ধতি গুলি কি কি ?
তার মধ্যে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে কোন পণ্যটি সবথেকে ভালো করে মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন এরকম কিছু বাছাই করা পদ্ধতি আজকের লেখায় আমি তুলে ধরার চেষ্টা করব মনোযোগ সহকারে একটা একটা করে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলি পদ্ধতি রয়েছে অন্যতম কয়েকটি পদ্ধতি আলোচনা করব।
এই পর্বে বাছাই করা ৮ টি পদ্ধতির ১- ৪ পর্যন্ত তুলে ধরা হলো।
৩য় পর্বে ৫-৮ পর্যন্ত সহ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হবে অবশ্যই পড়ে নিবেন।
- Search Engine Optimization (SEO)
- Search Engine Marketing
- Social Media Marketing
- Affiliate Marketing
- Content Marketing
- Email Marketing
- Display Advertising
- Viral Marketing
1. Search Engine Optimization এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল SEO
SEO এখন সবথেকে বেশি জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য গুগল, ইয়াহু, বিং এর মত সার্চ ইজ্ঞিন গুলোতে নিজের ওয়েবসাইটকে, নিজের প্রোডাক্ট গুলোতে সবার প্রথমে নিয়ে আসাটাই হল এসইও এর কাজ।
বর্তমানে প্রত্যেকে কম-বেশি ব্রাউজার ব্যবহার করে। এখন প্রত্যেকে কোন একটা প্রোডাক্ট নেওয়ার আগে গুগল এ সার্চ করে জেনে নেই ঐ প্রোডাক্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত। এরপর তার প্রোডাক্টটি ভাল লাগলে সে অর্ডার করে দেয়।
এখন আপনার সাইটটি যদি সার্চইজ্ঞিন এর প্রথমে না থাকে তাহলে আপনি কখনো ভিজিটর পাবেন না। আর ভিজিটর নেই মানে আপনার বিক্রি নেই। এজন্য আপনার ওয়েবসাইট বা প্রোডাক্ট পেইজ গুলোকে এসইও করা প্রয়োজন এবং গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া এই সেক্টর এর ভ্যালো মার্কেটে সবচেয়ে বেশি।
2. Search Engine Marketing
Search Engine Marketing এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল SEM. যাকে পেইড মার্কেটিং ও বলা হয়। নিজেদের ওয়েবসাইট বা প্রোডাক্ট পেইজ গুলোকে টাকা ব্যায়ের মাধ্যমে যখন সবার সামনে মার্কেটিং করাই হল এসইএম।
আমরা যখন গুগলে সার্চ করি তখন আর্গনিক রেজাল্ট এর উপরে কয়েকটা রেজাল্ট থাকে যা পেইড রেজাল্ট। যেগুলোতে এ্যাড লেখা থাকে। এই কাজটি সঠিকভাবে করতে একজন মার্কেটার এর প্রয়োজন হয়। অন্যতায় সঠিকভাবে করতে না পারলে আপনার টাকা এবং শ্রম দুইটাই ব্যার্থ।
3. Social Media Marketing
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কে সংক্ষেপে SMM বলা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো (ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, পিন্টারেস্ট ) ব্যবহার করে যে মার্কেটিং করা হয় তা হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ৩০০ কোটির বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করতেছে। এই ব্যাপক পরিমাণ ব্যবহারকারীর কাছে যদি আপনি সঠিকভাবে আপনার পণ্যের প্রচারণাটা করতে পারেন তাহলে আপনার কাস্টমার এর অভাব হবে না। এছাড়া অনেক কোম্পানি সোশ্যাল মিডিয়াকে তাদের প্রচারণার প্রধান মাধ্যম হিসেবে নিয়েছে। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই নতুন একটি ব্যবসা চালু করা সম্ভব এবং অনেকেই করতেছে। এজন্য মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
4. Affiliate Marketing
বড় বড় কোম্পানি গুলো তাদের ব্যবসায়ের বিক্রি বৃদ্ধির জন্য তারা অ্যাফিলিয়েট সিস্টেম চালু করে রাখে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল নিজেদের পণ্য গুলো অন্যের মাধ্যমে বিক্রি করা। অর্থাৎ আপনি ঐ কোম্পানির তৃতীয় ব্যাক্তি হয়ে দ্বিতীয় ব্যাক্তির কাছে তাদের পন্য বিক্রি করা,বিক্রয়টি আপনার মাধ্যমে হওয়ায় আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমানের কমিশন দেওয়া হবে। এতে কোম্পানি এবং তৃতীয় ব্যাক্তি দুজনেই লাভবান।
বর্তমানে প্রত্যেকটা কোম্পানিই তাদের ব্যবসায়ে অ্যাফিলিয়েট সিস্টেম রাখে। একটা ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড তৈরির ক্ষেত্রে, পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট সিস্টেমটা অনেক বেশি কার্যকর। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাফিলিয়েট কোম্পানি হচ্ছে এমাজন। এমাজন এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি ভালো কমিশন অর্জন করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে সবার আগে আপনাকে ভালোভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় তা জানতে হবে এবং বড় কোনো কোম্পানীতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিযোগিতা করতেছে ।আপনার জন্য সেখান থেকে আয় করা মোটেও সহজ না অনেক কঠিন কাজ হাজার হাজার টাকা খরচ করে বছরের পর সময় দিয়েও আয় করতে পারছেনা । সেই সুযোগে চটকদার লোভনীয় অফার দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানী কোর্স করাচ্ছে ।
৫. ডিজিটাল ক্যারিয়ার কিভাবে শুরু করবেন ?
আপনি খুব সহজেই বিনা মূল্যে ট্রেনিং করে স্বাধীন নিউট্রিক ও ওয়ার্ল্ড ফেমাস২৪ কোম্পানীতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনার ডিজিটাল ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
৩য় পর্বে বাছাই করা ৮ টি পদ্ধতির ৫- ৮ পর্যন্ত সহ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হবে, অবশ্যই পড়ে নিবেন।
লেখাটি আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
চোখ রাখুন ৩য় পর্বে।