আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভাল আছেন। আজকে হাজির হলাম “ডিজিটাল মার্কেটিং কী? কেন? কীভাবে?” এর ৪র্থ পর্ব নিয়ে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আপনি আপনার ব্র্যান্ড, কোম্পানি, এবং পণ্যকে বিভিন্ন ভাবে প্রমোট করতে পারবেন। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং। আজকে আমরা জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিজিটাল মার্কেটিং গুলো দেখতে চলেছি। বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে,
- ১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ২. কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ৪. পে পার ক্লিক (PPC)
- ৫. এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ৬. নেটিভ এড
- ৭. মার্কেটিং অটোমেশন
- ৮. ইমেইল মার্কেটিং
- ৯. অনলাইন পিআর
- ১০. ইন-বাউন্ড মার্কেটিং
- ১১. স্পনসর কন্টেন্ট
- ১২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- ১৩. ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মার্কেটিং
১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
Search Engine Optimization কাকে বলে এ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই আপনারা সবাই আশাকরি কম বেশি জানেন। সহজ ভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে SEO। এটি আপনার ওয়েবসাইট অর্গানিক ভাবে প্রচুর ট্রাফিক দিতে পারে। ওয়েবসাইট, ব্লগ, এবং ইনফো-গ্রাফিকের মত চ্যানেল গুলো সার্চ ইঞ্জিন অপমাইজেশন থেকে সুবিধা পেতে পারে।
কয়েকভাবে SEO করা যায় কয়েক ধরনের SEO রয়েছে। চলুন কয়েক প্রকার SEO দেখে নেয়া যাক।
On page SEO: ওয়েবসাইটের দৃশ্যমান কন্টেন্ট গুলোকে নিয়ে যে SEO করা হয় সেটাই হল On Page SEO। নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড রিসার্চ করে, যে কিওয়ার্ডে বেশি সার্চ হয় এই সেই কিওয়ার্ড নিয়ে সুন্দর করে নিয়ম মাফিক কন্টেন্ট তৈরি করাই হল On Page SEO। কন্টেন্ট ভাল ভাবে উপস্থাপন করতে পারলে সার্চ ইঞ্জিন গুলো সেগুলোকে ভাল র্যাংকিং এ রাখে এবং রিডাররাও এ থেকে উপকৃত হয়। আর রিডার যখন উপকৃত হবে তারা বারবার আপনার ওয়েবসাইটে আসবে আপনার ব্র্যান্ড পরিচিত হবে।
Off page SEO: এই SEO তে সকল কাজ করা হয় ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য। এটা মূলত ওয়েবসাইট এর অপটিমাইজেশন এর সাথে জড়িত। এই SEO তে কাজ হতে পারে ইনবাউন্ড আউট বাউন্ড লিংক না ব্যাক-লিংক তৈরি করা। নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের সাথে রিলেটেড পাবলিশার, ওয়েবসাইট কে লিংক করা। “Authority” লিংক তৈরি করা থেকে শুরু করে গেস্ট Post করা সব কিছুই Off page SEO এর অন্তর্ভুক্ত।
Technical SEO: এই SEO মূলত ওয়েবসাইটের ব্যাকএন্ডের সাথে কনেক্টেড। কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট কোড করা হয়েছে, ইমেজ কিভাবে কমপ্রেস করা হয়েছে, এবং এটি Structured data, CSS ফাইল অপটিমাইজেশনের সাথে জড়িত। ওয়েবসাইটে সব সময় ভাল কন্টেন্ট দিলেই হয় না, কন্টেন্ট গুলো অডিয়েন্স সহজ ভাবে পড়তে পারছে কিনা সেটার উপরেও র্যাংকিং নির্ভর করে।
২. কন্টেন্ট মার্কেটিং
একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড এওয়ারনেস, ট্রাফিক বৃদ্ধি, লিড জেনারেশন এবং কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে পরিকল্পিত ভাবে কন্টেন্ট তৈরি করাই হল কন্টেন্ট মার্কেটিং। মোট কথা কন্টেন্ট এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডকে তুলে ধরা।
কয়েক ভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং করা যেতে পারে,
ব্লগ Post: নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বা কোম্পানি নিয়ে একটি আর্টিকেল অথবা ব্লগ Post, কাস্টমার তৈরি করতে পারে। ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের ক্রেতায় পরিণত করার সুযোগ করে দেয় এই ব্লগ Post। যেমন গরমে আরামদায়ক পোশাক নিয়ে একটি কন্টেন্ট লিখলেন এবং সেখানে আপনার ব্র্যান্ডের কিছু টি-শার্ট তুলে ধরলেন।
ই-বুক ও হোয়াইট পেপার: ই-বুক, হোয়াইট পেপার অথবা বড় কোন কন্টেন্ট ওয়েবসাইট ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। কখনো কখনো এগুলোর বিনিময়ে কাস্টমারদের ডেটা কালেক্ট করা সম্ভব হয়। যেমন কোন ই-বুক ডাউনলোড করতে কিছু তথ্য ভিজিটরকে দিতে হবে, এতে করে ভিজিটর যেমন ই-বুক পাবে তেমনি কোম্পানির লিড জেনারেট হবে।
ইনফোগ্রাফি: কখনো কখনো ইনফোগ্রাফিকের মাধ্যমে আপনি ভিজিটরদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানাতে পারেন। বড় কন্টেন্ট না পড়ে কিছুক্ষণ চোখ বুলিয়েই ভিজিটররা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যেতে পারবে। তাছাড়া অডিয়েন্সরা কোন আর্টিকেল পড়তে তথ্য উপাত্ত পরিসংখ্যা দেখতে পছন্দ করে।
অডিও ও ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট: টেলিভিশন, রেডিও কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ একটি চ্যানেল। অনলাইনে ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করার মত রেডিও এর জন্য অডিও কন্টেন্ট বানিয়েও কিন্তু বিশাল কমিউনিটির কাছে পৌঁছানো যায়। রেডিও এর জন্য কন্টেন্ট গুলো অবশ্যই এমন ভাবে বানাতে হবে যেন অডিও শুনেই অডিয়েন্স মুল মেসেজটা বুঝতে পারে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে যেকোনো কোম্পানি বিশাল অডিয়েন্স এর মধ্যে পরিচিত হতে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্র্যান্ড এওয়ারনেস, ট্রাফিক এবং লিড জেনারেট করা সম্ভব।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়া যেমন Facebook, LinkedIn এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলোকে এক সাথে করতে HubSpot টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এই টুলের মাধ্যমে মাল্টিপল চ্যানেলের জন্য কন্টেন্ট শিডিউল করে রাখতে পারেন। একই সাথে সকল গুরুত্বপূর্ণ এনালাইটিক্স ও মনিটর করতে পারবেন।
HubSpot এর মাধ্যমে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো এক জায়গাও নিয়ে আসা যায়, আপনি জায়গাতেই সবার মেসেজ পেয়ে যেতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি নিচের প্ল্যাটফর্ম গুলো বেছে নিতে পারেন,
- Snapchat
অনেক মার্কেটার আছে যারা এই প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে ভাইরাল ক্যাম্পেইন তৈরি করে। সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথে এক হয়েও ব্র্যান্ডের প্রমোশন করা যেতে পারে এতে করে বিশাল একটা অডিয়েন্স এর কাছে ব্র্যান্ড সম্পর্কে মেসেজ পাঠানো যায়। তাছাড়া শেয়ার করার মত কোন কন্টেন্ট তৈরি করেও অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া যায়।
৪. পে পার ক্লিক
প্রতি এড ক্লিকের বিনিময়ে পাবলিশারদের পে করে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নেয়ার পদ্ধতি হচ্ছে Pay Per Click (PPC)। সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত Pay Per Click (PPC) হচ্ছে Google Ads। গুগলকে নির্দিষ্ট পেমেন্ট করে আপনি এডের জন্য স্লট কিনতে পারেন। আপনি চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অথবা ওয়েবসাইট উভয় জায়গাতেই এড প্লেস করতে পারেন। গুগল ছাড়াও আরও কিছু চ্যানেলেও আপনি PPC ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক এড: আপনি ফেসবুকে কাস্টমাইজ, ভিডিও, ইমেজ, Post করে পুরো প্ল্যাটফর্মে এড দিতে পারেন। অডিয়েন্স টার্গেট করে দিলে কেবল আপনার নির্দিষ্ট করা অডিয়েন্স গুলোই এড দেখতে পারবে।
টুইটার এড ক্যাম্পেইন: টুইটারেও ইউজাররা স্পেসিফিক অডিয়েন্স টার্গেট করে এড রান করতে পারে। এখানে এড রান করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নেয়া, ফলোয়ার বাড়ানো, টুইটে এনগেজমেন্ট নেয়া এবং নির্দিষ্ট অ্যাপ ডাউনলোড করানো যায়।
LinkedIn এ স্পন্সর মেসেজ: এই প্ল্যাটফর্মে ইউজাররা পে করে নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি বা ব্যাকগ্রাউন্ডের অডিয়েন্সদের ডিরেক্ট মেসেজ পাঠাতে পারে।
৫. এফিলিয়েট মার্কেটিং
নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করাই হচ্ছে Affilite Marketing। এর মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট বা যেকোনো প্ল্যাটফর্মে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করা যেতে পারে। তাছাড়া ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে এড হোস্ট করা, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এফিলিয়েট লিংক Post করার মাধ্যমেও এই মার্কেটিং করা যায়।
এটি ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এ তুলনামূলক নতুন একটি মেথড। ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন এফিলিয়েট মার্কেটিং এ দারুণ কাজ করতে পারে৷ উপযুক্ত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নির্বাচন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এ নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে পারে।
৬. নেটিভ এড
যেকোনো প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্টের সাথে মিল রেখে যে এড গুলো শো করানো হয় সেগুলোকে Native Advertising। ধরুন কোন নিউজ পেপারের কোন কন্টেন্ট আপনি পড়ছেন, নিচে এমন আরও কিছু নিউজের সাজেশন আছে, সেই সাজেশন গুলোতে নিউজের মতই এড শো করানো হতে পারে। ইউজাররা অনেক সময় বুঝতেই পারে না এটা কোন এড।
অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া এডকে নেটিভ এড বলে। যেমন মেসেঞ্জারে কোন এড দিলে দেখবেন সেটাও চ্যাট হেডের মত গোল করে দেখায়।
৭. মার্কেটিং অটোমেশন
যখন ব্যাসিক মার্কেটিং অপারেশন গুলো কোন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হবে তখন সেটাকে মার্কেটিং অটোমেশন বলা হবে। কেউ কেউ এই কাজ গুলো ম্যানুয়ালি করে আবার অনেকে অটোমেটিকই করতে পছন্দ করে।
ইমেইল নিউজলেটার: নিউজলেটারের মাধ্যমে কেবল অটোমেটেড ভাবে সাবস্ক্রাইবারদের ইমেইলই করা যায় না একই সাথে কন্টাক্ট লিস্টও বাড়ানো যায়। এর মাধ্যমে দ্রুত এবং কার্যকর ভাবে সাবস্ক্রাইবারদের মধ্যে অফার প্রমোট করা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া শিডিউলিং Post: সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনই উচিৎ উপযুক্ত কন্টেন্ট শেয়ার দেয়া। ম্যানুয়ালি এই কাজটি করা অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে যেতে পারে তাই এখানে শিডিউলিং Post করা যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া শিডিউলিং করার বিভিন্ন টুল রয়েছে যেগুলো আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ব্যাপক ভাবে সহায়তা করতে পারে।
লিড কেন্দ্রিক ইমেইল: লিড জেনারেট করা তারপর তাদের কাস্টমারে পরিণত করা বেশ সময় সাপেক্ষ হতে পারে। এই কাজটি অটোমেটেড করতে আপনি তাদের লিড স্পেসিফিক ইমেইল পাঠাতে পারেন। যেমন নির্দিষ্ট ফর্ম যারা ফিল-আপ করবে অথবা ই-বুক ডাউনলোড করবে তাদের কাছে নির্দিষ্ট মেইল চলে যাবে।
ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এবং রিপোর্ট: মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ট্র্যাক করা খুবই জরুরি কারণ এতে করে বুঝা যায় ক্যাম্পেইন সফল হচ্ছে নাকি ব্যর্থ হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে মার্কেটিং অটোমেশন সাহায্য করতে পারে। আপনি নির্দিষ্ট টুলের মাধ্যমে জানতে পারবেন পারফরম্যান্স কেমন হয়েছে কোন ধরনের অডিয়েন্স কেমন আচরণ করছে। তাছাড়া যেকোনো ক্যাম্পেইন রান করার কয়েকদিনের মধ্যে সেটার পারফরম্যান্স চেক করা জরুরি। ইস্যু গুলো ফিক্স করে আবার ক্যাম্পেইন রান করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
৮. ইমেইল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে কোম্পানি গুলো তাদের অডিয়েন্স এর যোগাযোগ করতে ইমেইল মার্কেটিং করে থাকে। ইমেইল মার্কেটিং এ মূলত কন্টেন্ট প্রোমোশন, অফার, ডিসকাউন্ট, এবং ইভেন্ট সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। বিভিন্ন ভাবে ইমেইল মার্কেটিং করা যেতে পারে,
- ব্লগ সাবস্ক্রিপশন নিউজলেটার
- যারা ওয়েবসাইট থেকে কিছু ডাউনলোড করবে তাদের জন্য ফলো-আপ ইমেইল
- কাস্টমারদের জন্য ওয়েলকাম ইমেইল
- লয়্যাল মেম্বারদের জন্য বিভিন্ন স্পেশাল অফারের ইমেইল
- কাস্টমারদের জ্ঞাতার্থে বিভিন্ন টিপস মেইল
৯. অনলাইন পিআর
ডিজিটাল পাবলিশারদের মাধ্যমে অনলাইনে যথেষ্ট কভারেজ পাওয়ার উপায় হচ্ছে Online PR। আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে অনলাইনে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে, ব্লগে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মাধ্যমে নিজের কোম্পানির প্রচার। অনলাইন পাবলিক রিলেশন ট্র্যাডিশনাল পাবলিক রিলেশনের মতই তবে এটা হবে ইন্টারনেটে।
সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্ট: টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জার্নালিস্টদের সাথে কথা বলা, তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরি করা উচিৎ। এতে করে আপনার কোম্পানি মিডিয়া কাভারেজের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
অনলাইন রিভিউয়ে রিপ্লাই দিন: যখন কোন কাস্টমার আপনার কোম্পানি সম্পর্কে কোন রিভিউ করবে, ভাল হোক খারাপ হোক অবশ্যই সেটার রিপ্লাই দিন। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করুন। এতে করে অডিয়েন্সরা আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি সচেতন হবে।
টিউমেন্টে রিপ্লাই দিন: রিভিউ এর মতই যারা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের কন্টেন্টে টিউমেন্ট করবে তাদের টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন এতে করে অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট আরও বাড়বে।
১০. ইনবাউন্ড মার্কেটিং
বায়ার জার্নির প্রতিটি ধাপে কাস্টমারদের আকর্ষণ করা, এনগেজড এবং সন্তুষ্ট করার পদ্ধতিই হল Inbound Marketing। আপনি উপরে আলোচনা করা সকল মেথড গুলোকে ইনবাউন্ড মার্কেটিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মুল কথা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স তৈরি হবে যেখানে তারা বিরক্ত হবে না। ইনবাউন্ড মার্কেটিং এবং ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর পার্থক্য যদি দেই,
- ব্লগিং vs. পপআপ এড
- ভিডিও মার্কেটিং vs. কমার্শিয়াল এড
- ইমেইল কন্টাক্ট লিস্ট vs. ইমেইল স্প্যাম
১১. স্পন্সর কন্টেন্ট
স্পন্সর এড সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। অন্য কোম্পানিকে পে করে নিজের কোম্পানির প্রোমোশন করা। স্পন্সর কন্টেন্ট বা এডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হচ্ছে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। ইনফ্লুয়েন্সাররা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে তার অডিয়েন্স এর কাছে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারে।
স্পন্সর কন্টেন্ট এর আরেকটা মেথড হচ্ছে ব্লগ Post বা আর্টিকেল। জনপ্রিয় ব্লগে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আর্টিকেল লিখেও আপনার প্রোডাক্ট বা কোম্পানিকে প্রোমোট করা যায়।
১২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
যখন কোন ইউজার কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দেবে তখন সেখানে নিজের এড প্লেস করা হচ্ছে SEM বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। যেকোনো কিছু সম্পর্কে সার্চ দিলে প্রথমেই কিছু রেজাল্ট দেখায় সেখানে ছোট করে ad লেখা থাকে, সেগুলোই হল SEM। সার্চ ইঞ্জিনে এড প্লেস করে ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি SEM সার্ভিস হচ্ছে Bings Ads এবং Google Ads। যেহেতু অর্গানিক সার্চের মতই এখানে এড এর রেজাল্ট গুলো দেখানো হয় সেহেতু এটাকে অনেকটা নেটিভ এডও বলা চলে।
১৩. ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মার্কেটিং
আপনি চাইলে আপনার প্রোডাক্ট সরাসরি বিভিন্ন মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও প্রমোট করতে পারেন। এতে করে আপনি আপনার কাস্টমারদের ফ্ল্যাশ সেলস, নতুন প্রোডাক্ট, এবং বিভিন্ন অর্ডার সম্পর্কে সরাসরি আপডেট দিতে পারেন। আপনি চাইলে ফোনেও মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক মেসেঞ্জার, WhatsApp এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রোমোট করার হাজারটা পথ তৈরি করে দেবে। আপনার ইন্ডাস্ট্রি এর জন্য যে মেথড উপযুক্ত আপনি সেটাই গ্রহণ করবেন। অডিয়েন্সদের রুচি চাহিদা সব সময় পরিবর্তনশীল তাই এটাও মনে রাখতে হবে সব সময় একই স্ট্রেটেজি অবলম্বন করা যাবে না।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা এবং জনপ্রিয় টাইপ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল, যেগুলো বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে। আশা করছি ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনিও উপরের মেথড গুলো ব্যবহার করবেন।
আজকে এ পর্যন্তই পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত ভাল থাকুন আল্লাহ হাফেজ।