ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে কিভাবে তা লাভজনক কাজে লাগানো যায়?

খুবই সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সোশাল মিডিয়ার এই যুগে মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট করে সোশাল মিডিয়ার মধ্যে। হ্যাঁ সোশাল মিডিয়ার অবশ্যই দরকার আছে তবে অতিরিক্ত সময় কাটানোর জন্য সোশাল মিডিয়া নয়।

আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে ঢুকলে আর বের হতে পারি না, বা বের হতে মন চায় না। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, আনন্দদায়ক কনটেন্ট এসব আমাদের চুম্বকের মতো আটকে রাখে। যার ফলে কখন অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যায় এটা টের ও পাই না। আমি নিজেই এর ভুক্তভোগী ছিলাম এবং বলতে গেলে এখনও কিছুটা আছি। তবে অনেকটাই সোশাল মিডিয়ার এডিকশন হতে বের হয়ে আসতে পেরেছি। আপনার মধ্যে যদি ফেসবুকের বিভিন্ন কনটেন্ট প্রতি আপনার আসক্তি থাকে তাহলে আপনাকে বলবো যে কোনো উপায়ে ফেসবুক এপ মোবাইল থেকে আনইন্সটল / ডিজেবল করে দিন। আপনার ফেসবুকে ঢুকতে মন চাইলে ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে ঢুকবেন। তারপর ও অ্যাপ ইউজ করা যাবে না। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ফেসবুক চালানো কমে যাচ্ছে।

ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে সময়কে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো যায়। এমনকি ফেসবুকের মধ্যে থেকেও সময়কে কাজে লাগানো যায়। যেমন : ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরী করা, ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করা, অন্য কোনো কোম্পানির ফেসবুক মার্কেটিং করে দেওয়া ইত্যাদি।

এছাড়া বিভিন্নভাবে আপনি আপনার সময়কে কাজে লাগাতে পারেন। নিচে কিছু পরামর্শ থাকলো আপনার জন্য।

১. ইউটিউব, গুগল থেকে ফ্রি রিসোর্স এর সাহায্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন।

২. ছবি এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখা শুরু করে দিতে পারেন। ইউটিউবেই ফ্রি টিউটোরিয়াল এর অভাব নাই। মনে রাখবেন শুরু করলেই কাজ আস্তে আস্তে হয়ে যায়। শুরু না করলে কাজ হবে ও না কোনোদিন। শুরু করাটাই সবচেয়ে কঠিন। একবার শুরু করে দিলে বাকি সব আস্তে আস্তে এমনিই হয়ে যাবে। তবে আগ্রহ থাকতে হবে অবশ্যই।

৩. ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এক্ষেত্রে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার এসব এ গিয়ে জব গুলো দেখে আইডিয়া নিন আপনার কোন টপিকের প্রতি আগ্রহ বেশি। সেই টপিকের ওপর ইউটিউবের টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে শিখা শুরু করুন।

৪. ব্লগিং করতে পারেন। ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগিং শুরু করে দিন। আমি সাম্প্রতিক সময়ে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগিং শুরু করে দিলাম। আমার ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। এখন বাংলাদেশেই অনেক ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার আছে যাদের মাধ্যমে বিকাশ, নগদে পেমেন্ট করেই ডোমেইন হোস্টিং নিতে পারেন। ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলা নাই। তাছাড়া ডোমেইন হোস্টিং এর বাৎসরিক চার্জ ১ হাজার থেকে পনেরশো টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়।

৫. ইউটিউবে কনটেন্ট বানাতে পারেন। এবিষয়ে ইউটিউবে যথেষ্ট ফ্রি টিউটোরিয়াল আছে।

আমার ফেসবুকের এডিকশন কমানোর জন্য আমি বিভিন্ন জায়গায় ব্লগিং শুরু করেছিলাম। বিভিন্ন সাইটে গেস্ট রাইটার হিসেবে লিখেছি। মোটামুটি ভালো টাকাই আর্ন করতে পেরেছি আল্লাহর রহমতে। এখন নিজের জন্য একটা পার্মানেন্ট ওয়েবসাইট করে নিয়েছি। আমার জন্য দোয়া রাখবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply