বর্তমানে বাংলাদেশে ইকমার্সের সম্ভবনা ও গুরুত্ব

ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে যে ব্যবসা করা হয় তাই মূলত ই-কমার্স । এছাড়াও বলা যেতে পারে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবা বাণিজ্যিক ভাবে ক্রয় বিক্রয়কে ই-কমার্স বলা হয়। ই-কমার্সকে আবার অনলাইন শপিং বা ডিজিটাল ব্যবসা বলা যেতে পারে।

ই-কমার্স ব্যবসার জন্য প্রথমে কিছু বিশেষ জিনিস দরকার সেগুলো হলঃ

১। উন্নত মানের স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার। 

২। ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ। 

৩। মার্কেটিং নলেজ 

৪। মান-সম্মত পণ্য

৫। শিপিং 

৬। ডোমেন হোস্টিং

৭। ই-কর্মাস ওয়েব সাইট

৮। ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ 

বলা বাহুল্য বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ২৪তম ইকোনোমি দেশ এবং ১৬৫.৫ মিলিয়ন জনগণের  মধ্যে ১৩৭ মিলিয়ন জনগণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং এর মধ্যে প্রায় ৮০ মিলিয়ন জনগণ অ্যান্ড্রয়েড সেট ব্যবহার করে । সেদিক থেকে বিবেচনা করলে ই-কমার্স বিজনেস দ্রুত প্রসার লাভ করবে আশা করা যায়। সারা বিশ্বব্যাপী আলিবাবা, অ্যামাজন.কম, ইবে এক্সপ্রেস অত্যন্ত জনপ্রিয় । বাংলাদেশে ই-কমার্স  ওয়েবসাইট গুলো হলঃ দারাজ, চালডাল.কম, রকমারি, আজকের ডিল, ইভ্যালি ইত্যাদি।

বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ই-কমার্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন। সুযোগ সুবিধাগুলো নিন্মরুপঃ

১। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায়।

২। কোন প্রকার অফিস লাগে না। 

৩। অফিস ডেকোরেশনের জন্য কোন প্রকার সরঞ্জাম লাগে না । 

৪। কোন প্রকার কর্মচারির প্রয়োজন হয় না। 

৫। যেহেতু দিন দিন ট্রেডিশনাল বিজনেসের চেয়ে ই-কমার্স বিসনেজের দিকে মানুষ বেশি ধাবিত হচ্ছে তাই লাভবান হচ্ছে বেশি। 

কেননা ট্রেডিশনাল বিসনেস এর ম্যানুফ্যাকচার থেকে হোল সেলার এরপর হোল সেলার থেকে রিটেলার এবং রিটেলার থেকে সর্বশেষ কাস্টমারের কাছে পৌঁছায়। এতে করে মধ্যসত্তাভোগী বেশি লাভবান হয়। কিন্তু ই-কমার্স বিসনেজে ডিরেক্ট সেলিং অর্থাৎ কোন প্রকার মধ্যসত্তাভোগী অবস্থান করে না বিধায় ম্যানুফ্যাকচার থেকে সরাসরি কাস্টমারের কাছে পৌঁছায় এতে করে পণ্যের দামও তুলনামূলকভাবে কম পরে। শুধু তাই নয় এতে করে ট্রেডিশনাল বিজনেসের থেকে কাস্টমার লাভবান হয়।  এবং অতিসহজে ব্যাংক স্লিপ, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায় অ্যাপসের মাধ্যমে  বা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অর্থ আদান প্রদান সহজতর হয়। যেহেতু ফোন কল বা ইমেইল করতে  হয় না তাই ক্রেতা বা বিক্রেতার উভয়েরই অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হয়। শুধু তাই নয় ইলেকট্রনিক  প্রেমেন্ট এর জন্য ব্যবসা সাফল্য সুনিশ্চত হয়। সরাসরি ব্যাংকে না গিয়েও ব্যাংকের কাজ অনলাইনের  মাধ্যমে সমাধান করা যায়। 

তাহলে দেখা যাচ্ছে অনেক সুযোগ সুবিধার কারণে বর্তমান বিশ্ব অধিকতর অগ্রসর হচ্ছে। এবং  এর মাধ্যমে ই-কমার্স বিজনেস সাফল্য লাভ করছে। তেমনি world-famous হতে পারে একটি  সাফল্যমণ্ডিত মাধ্যম। তাই ই-কর্মাসকে মাধ্যম করে WORLDFAMOUS ব্যবসাকে আরও সাফল্যমণ্ডিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। 

Leave a Reply