আজকে আলোচনা করব শিশুদের যে সব বিষয় শেখানো দরকারঃ
সন্তান বড় হোক, আলোকিত মানুষ হোক কে না চায়। তবে সন্তানকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই শৈশবে শিশুকে কিছু বিষয় শেখানো জরুরি। মনে রাখবেন ১০ বছর বয়সের আগে শিশুকে যেসব বিষয় শেখাবেন তাই সে সারাজীবন মেনে চলবে। আর যথাযথভাবে পালনও করবে।আপনি হয়তো চান সন্তান যেন দয়ালু, সৎ, সহানুভূতিশীল এবং সাহসী হয়। কিন্তু এ গুণাবলীগুলো একটি শিশুর মাঝে কিন্তু রাতারাতি এসে পড়েনা। একটি ভালো পরিবেশ, দায়িত্বশীল বাবা-মা এবং তাদের সৎ সংস্কারই পারে তাদের সন্তানকে সুস্থ, সফল ও স্বাবলম্বী করে তুলতে।
আসুন জেনে নেই ১০ বছর বয়সের আগে শিশুদের যে ১০ টি বিষয় শেখানো জরুরি।
১. সকলকেই সম্মানের চোখে দেখাঃ
আপনার সন্তানকে ছেলে কিংবা মেয়ে আলাদা সত্তা হিসেবে পরিচয় করানোর প্রয়োজন নেই। তারা যেন সকলকেই সমানভাবে সম্মান প্রদর্শন করে সেদিকে দৃঢ় মনোযোগ দিন। লিঙ্গবৈষম্য যেন তাদের মধ্যে কোনভাবেই প্রকাশিত না হয়।
২. ভুল করা কোনো অপরাধ নয়ঃ
ভুল থেকে যদি কোনো শিশু কিছু শিখতে পারে, তবেই কিন্তু সে একটি আদর্শ। নিজের ব্যর্থতা থেকেও কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করুন। আপনার সন্তান যেন ভুল করতে কখনো ভয় না পায়।
৩. জ্ঞান সব থেকে বড়ঃ
অনেক সময় সন্তানেরা পরীক্ষায় আশানুরুপ ফলাফল না করলে বাবা-মা খুব ক্ষেপে যান এবং খুব কঠোরভাবে তিরস্কার করতে থাকেন। এটি খুবই ক্ষতিকারক। আপনার সন্তানকে এটি শিক্ষা দিন যে গ্রেডের চাইতে অর্জিত জ্ঞানই প্রয়োজনীয়।
৪. বাবা-মা কখনো শত্রু নয়ঃ
সন্তানের বন্ধু হয়ে ওঠা খুব কষ্টকর কিন্তু আপনাকে এ চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে। খুব বেশি জোরাজুরি করার উচিত নয় একদম। ধীরে ধীরে সন্তানের কাছের মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন যেন যেকোনো বিপদে-আপদে সে আপনার কাছে আসতে পারে।
৫. ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ না করাঃ
শিশুদের মনে করে থাকে যে বন্ধুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা সব সময় চেষ্টা করে এটি অর্জন করার জন্য। আপনার নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সন্তানের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং তাকে শেখান যে সৎ এবং সম্মানিত হওয়া যেকোনো কিছুর উর্ধ্বে।
৬. কিছু না বুঝলে প্রশ্ন করাঃ
যেকোনো ব্যাপারে না বুঝলে প্রশ্ন করা খুব সাধারণ। সবকিছু বুঝে ফেলেছেন এমন মিথ্যে ভান করার চাইতে প্রশ্ন করা ঢের কৃতিত্বের। এ ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য শৈশব খুব ভালো সময়।
৭. অসুস্থ বোধ করলেঃ
একজন শিশু যেন কখনোই স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কথা বলতে জড়তাবোধ না করে। এ শিক্ষাটি পরিবার থেকেই দিতে হবে। গ্রেড এবং শিক্ষকের বকুনির চাইতে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। এটি সন্তানকে ভালোমতন বুঝিয়ে দিন।
৮. পরিবেশকে সম্মান করাঃ
আমরা কতবার ময়লা সড়ক নিয়ে অভিযোগ করি বলুন তো? পরিবেশকে সম্মান করার কাজটা পরিবার থেকেই শেখাতে হবে। নিজেই শুরু করুন এ অভ্যাসটি এবং অতঃপর সন্তানকে শেখান। এতে করে, উত্তম একটি ফলাফল পাবেন।
৯. ইতিবাচক মানষিকতা তৈরী করুনঃ
আমাদের চারোদিকে শুধু নিতিবাচক মানষিকতা তুমি পারবেনা, তোমার দ্বারা হবেনা, ্মএটা করনা,ওটা করনা আমরা না জানার কারনে ছোট বাবুদের কান্নার সময় মা আদর করে বলে বাবু কাদেনা কাদেনা , এ ভাবেই একটা শিশু ১৮ বছর বয়স হতেই প্রায় ৪০ লাখ বার+‘না’ শব্দ শুনে শুনে বড় হয় এর প্রভাবে ‘না’ ভিতি নিঢেই সারা জীবন কাটায় , তাই সব সময় ইতিবাচক মানষিকতা তৈরী করুন।
১০. অনুপ্রেরণা দেওয়াঃ
আপনার সন্তানকে সব সময় ‘হ্যাঁ ’ বলতে শেখান। তাকে বলুন তুমিই পারবে ,তোমাকে পারতেই হবে। তাকে একটি শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে তৈরি করতে চাচ্ছেন, অবশ্যই অন্যের গোলাম হতে শেখাচ্ছেন না। সে পারবে এই বিশ্বাস নিয়েই সে বড় হবে এই অভ্যাস পরিপূর্ণ বয়সে তাকে বেশ সাহায্য করবে এবং আপনার সন্তান একদিন পারবেই ইনশাআল্লাহ।
লেখাটি আপনার টাইম লাইনে শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিন।