সফল দলনেতার নেতৃত্বদানের গুণাবলীঃ (২য় পর্ব)

এই পর্বে  আত্মবিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

৫. আত্মবিশ্বাসীঃ

আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান মানুষ যে কোন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, সকল বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে আত্মবিশ্বাসের মূলভিত্তি মানসিক দৃঢ়তা।

দলনেতারা এতটাই আত্মবিস্বাসী যে তারা মানুষের মনোভাব পরিবর্তন ছাড়াও সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও পাল্টাতে সক্ষম হয়।

অতীতের ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য পরিস্থিতিকে দায়ী না করে এর থেকে শিক্ষার্জন করে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে। দলনেতাদের আত্মবিশ্বাস এমনই হওয়া চাই। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে তখনই আসবে সফলতা।

আত্মবিশ্বাস হলো মনের স্থিরতা যেটা মানুষকে র্নিদিষ্ট লক্ষ্য র্অজন করতে সাহায্য করে। এটি জীবনের ব্যাপারে অবিচ্ছেদ্য একটি নিয়ামক এবং একজন মুমিনের জন্য আল্লাহ তা আলার এক মহান নেয়ামত। জীবনে যখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে, ঠিক তখনইগুরুত্বপূর্ণ  বিষয় হয়ে দাঁড়ায় আত্মবিশ্বাস।

আত্মবিশ্বাস এর অর্থ সংজ্ঞায়িত করতে হলে আত্ম” অর্থ নিজ আর” বিশ্বাস” অর্থ ভরসা”। মোটকথায় নিজের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসা করার নামই হলো আত্মবিশ্বাস।

কোন কাজ বা কোন কিছুর ওপর সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি। আত্মবিশ্বাস এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা মানুষকে তার সাফল্যের চূড়ান্ত চূড়ায় নিয়ে যেতে পারে।

তাই প্রত্যেক মানুষের আত্মবিশ্বাস এই অদৃশ্য শক্তিটি থাকতে হবে,আত্মবিশ্বাস না থাকলে জীবনে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। মূলত এটা অর্জন হয়, আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল বা ভরসার মাধ্যমে। এ কারণে আত্মবিশ্বাসের স্বরূপ বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, “যখন তুমি দৃঢ়ভাবে ইচ্ছা করবে,তখন আল্লাহর উপর ভরসা করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ ভরসাকারীদের ভালবাসেন। ” (সূরা আল ইমরান- ১৫৯ )

আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে  যারা আত্মবিশ্বাসের এই গুণ অর্জন করে তাদের মনের স্থিরতা কত গভীর হয়ে থাকে, তা বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘ মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে , না তারা চিন্তান্বিত হবে।” (সূরা ইউনুসঃ ৬২ ), আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, “আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” (সূরা তালাকঃ৩)

এক প্রবাদ পুরুষ বিজ্ঞানী এ পি জে আবুল কালাম আজাদ বলেছিলেন “সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে তোমাকে  সূর্যের মতো পুড়তে হবে”। দারিদ্র্যের সর্বনিমড়ব রেখায় থাকার পরও কেবল নিজের মেধা আর আত্মবিশ্বাসের সাথে  সততার মিশ্রনে যিনি হয়েছিলেন ভারতের রাষ্টপতি।

কবি হাইরিন হাইনে বলেছিলেন ” সাহস নিয়ে কোনো কাজ করলে শুরুতেই অর্ধেক বিজয় হয়ে যায়”।

রবার্ট ব্রুস যদি হাল ছেড়ে দিতেন তবে দেশমাতা মুক্ত করা সম্ভব ছিলো না। পৃথিবীতে যারাই সফল হয়েছেন তাদের সফলতার মূলে রয়েছে আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস শুধু শব্দ নয়,একটি শক্তি যা আমাদের জীবনের কঠিক পরিস্থিতিও সহজ ভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্যে করে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য আমাদের সমাজে অনেকেই আত্মবিশ্বাস হীনতা রোগে আক্রান্ত। আত্মবিশ্বাস হীনতা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মনে করে তাদের দ্বারা এ কাজটি বা ওই কাজটি সম্ভব নয়। তারা সব সময় নিজেকে গুটিয়ে রাখে। কিন্তু তারা হয়তো জানেনা তাদের দ্বারা এ কাজটি বা ওই কাজটি সম্ভব।

এখন আপনি বলতে পারেন যে আত্মবিশ্বাস বাড়াবো কিভাবে..?

আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর – উপায় রয়েছে সেগুলোর মধ্যে প্রধান উপায় হচ্ছে নিজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। আপনার মনকে বলতে হবে আপনি পারবেন  আপনার দ্বারাই সম্ভব ,অন্যরা যা পারে আপনি কেন তা পারবেন না।

আপনার দ্বারাই সম্ভব। নিরাশ হবেন না নিজের মনের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। এ ছাড়া  আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর  বিভিন্ন -উপায় হতে পারে সমাজের সফল ব্যক্তির জীবনী ও সফল ব্যক্তির উক্তি এগুলো পড়–ন, জানুন এবং সেগুলো কল্পনা করুন।  দেখবেন আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। পরিশেষে এটাই বলতে চাই নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রমই আপনাকে উন্নতির চুড়ান্ত শিখরে পৌঁছাবে।

আত্মবিশ্বাস রাখেন মনের মধ্যে স্বপ্ন অনুভবে, সফলতার যুদ্ধে বিজয় আত্মবিস্বাসী নেতার হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখিত যে গুণাবলী গুলি আলোচনা করা হলো সেগুলো নিজের মধ্যে মেনে চলে আত্মবিশ্বাসের সাথে স্বাধীননিউট্রিক ও ওয়ার্ল্ড ফেমাস২৪ এ কাজ করে আপনি একজন সকল নেতা হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।

Leave a Reply