‘হার্ট অ্যাটাক’ এবং ‘স্ট্রোক’-এর পার্থক্য কী?

Heart attack টা myocardial infraction। মানে heart এর রক্ত সংবহনকারি করোনারি ধমনী ব্লকেজ এর জন্য হয় ।অথবা ধমনী তে ফ্যাট জমে atherosclerosis হয়ে lumen ছোট হয়ে সংবহন ব্যাহত হতে পারে।এই সংবহন ব্যাহত হলে heart এ অসুবিধার সৃষ্টি হয় এবং যার জন্য ischemic pain হতে পারে।এই প্রকৃতির ব্যথা বুকের বাম দিকে তীব্র ভেবে অনুভূত হয়।বেশির ভাগ সময়েই রোগীরা বাম দিকের বুক খামচে কাতরায় ।এই যন্ত্রণা মারাত্বক।অনেক রকমের myocardial infraction হয়।এবং heart এর বিভিন্ন স্থানের myocardial infraction অনুযায়ী তার prognosis ( ফলাফল) কেমন হবে টা নিরূপণ করা সম্ভব।

Heart attack হবার সম্ভবনা আছে এই গুলো দেখলে বোঝা যাবে

  • দীর্ঘদিনের বুকে চিন চিন ব্যথার অভিযোগ থাকতে পারে।
  • সিড়ি দিয়ে ওঠা বা শারীরিক কসরত করলে চিনচিন ব্যথার অভিযোগ থাকতে পারে ।বাকি সময়ে স্বাভাবিক থাকতে পারে
  • high pressure , সুগার এসব রোগ থাকতে পারে।
  • ধূমপান বা মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করার অভ্যাস আছে।
  • জাঙ্কফুড ফাস্টফুড খেয়ে খেয়ে বিশাল মোটা হয়ে একটু কাজ করতেই হাফায়।
  • ফ্যামিলি তে অনেক লোকের ই heart এর সমস্যা থাকলে

এবারে কিভাবে রোগী কে দেখে বুঝবেন যে হার্ট attack হয়েছে।

দেখবেন রোগী অনেক সময় বুকের মাঝে বা বাঁদিকে খুব ব্যাথা অনুভব করবে।আর বুক খামচে যন্ত্রণায় কাতরাবে। ঠিক এই রকম।

রোগীর দরদর করে ঘাম দিতে পারে

রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে

ঝিম ধরা ভাব বা বমি বমি ভাব ও সাথে থাকতে পারে

বুকের বাম দিকে অনুভূত ব্যথা বাম কাঁধ এ ছড়িয়ে পড়তে পারে সেখান থেকে বাম হাতে।

এই ব্যক্তির pulse খুব তাড়াতাড়ি বা খুব ধীরে যেতে পারে।

তৎক্ষণাৎ কি করা উচিৎ ?

প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অবশ্যই রোগীকে অ্যাসপিরিন জাতীয় অষুধ খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে এই ধরনের অষুধ গুঁড়ো করে রোগীকে দিতে হবে ।এছাড়াও জিভের তলায় sublingual nitrate ট্যাবলেট রাখতে হবে। এছাড়াও clopidogrel , স্টাটিন জাতীয় ওষুধ ও মুখে গুঁড়ো করে দেওয়া যায়। তাহলে এই অষুধ রোগীর শরীরে দ্রুত কাজ করতে পারে।

এছাড়াও অক্সিজেন এর ব্যবস্থা করে দ্রুত অক্সিজেন দিতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে।অচেতন রোগীর ক্ষেত্রে cpr দিতে হবে এবং automated defibrillator দিয়ে shock দিতে হবে।

স্ট্রোক

স্ট্রোক হলো ব্রেইন এ ঘরে যাওয়া সমস্যা।স্ট্রোক হলো ব্রেইন এর রক্তবাহী ধমনী এবং তার শাখা প্রশাখা তে কোনো কারণে রক্ত প্রবাহ তে বাধা সৃষ্টি হলে ঘটা সমস্যা। কিছু তে বাধা পেয়ে রক্ত প্রবাহ কম হতে পারে (ischemic stroke)বা রক্ত প্রবাহী নালি ফেটে গিয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়ে প্রবাহ ব্যাহত হতে পারে।(hemorrhagic stroke)

স্ট্রোক হলে ব্যক্তি র শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়।একটি দিকের পক্ষাঘাত বা একটি অঙ্গের পক্ষ ঘাত ( প্যারালাইসিস) হতে পারে।মস্তিষ্কে স্থান বিশেষে স্ট্রোক বিভিন্ন অঙ্গের পক্ষাঘাত ঘটায়।অনেক সময় ব্যক্তির মুখের একটা সাইড প্যারালাইজড হতে পারে ।ঠোঁট ঝুলে থাকে একদিকের ।

মুখের একদিক একদম নাড়াতে পারবে না।

এছাড়াও চোখে দুটো দেখা বা চোখের পাতা বন্ধ না হওয়া ,বা একটি বিশেষ দিকে ট্যারা হয়ে যাওয়া এই স্ট্রোক এর লক্ষণ।

স্ট্রোকে খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ।দুই তিন ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু না করলে খুব একটা ভালো ফল দেয়না।সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে দ্রুত বোঝা যায় মস্তিষ্কের কোন অংশ টি ক্ষতিগ্রস্ত বা স্ট্রোকে টি কি প্রকারের।

এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা যায়।

Leave a Reply