হিউমেন গ্রোথ হরমোন HGH এর ইতিহাসঃ

আজকের আলোচ্য বিষয় হিউমেন গ্রোথ হরমোন HGH এর ইতিহাস নিয়েঃ

১৯৫৮ সালঃ বামণ শিশুর HGH ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়েছিল  ( মৃত ব্যক্তির মস্তিস্ক থেকে HGH সংগৃহীত )

১৯৮০ সালঃ  সামান্য কিছু সংখ্যক ছেলেমেয়ে ক্রজফেল জোকব রোগে (CJD) আক্রান্ত হলে FDA নির্দেশনা দিয়ে HGH এর ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। সে রোগে পেশীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে ৫ বছরের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়।

১৯৮৫ সালঃ  “ভিন্নধর্মী” HGH এর উপর গবেষণা…করে ১৯১ এমাইনো এসিডস মেট্রিস্ক চেইন- এর ধারনা আবিস্কার করেন।

১৯৮৬ সালঃ ১৯১ এমাইনো এসিডস সফলভাবে তৈরী করেন।

১৯৯০ সালঃ নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে ডাঃ ডানিয়েল  রূডমেন সাফল্যজনকভাবে ঘোষণা দেন এই বলে যে HGH বয়সের ছাপ কমিয়ে দিতে পারে। ছয় মাসের HGH ব্যবহার ১০১২ বছরের  বয়সের ছাপ কমার প্রভাব বিদ্যমান ছিল।

১৯৯২ সালঃ ডা. এডমুন্ড চেইন স্বয়ং HGH পরীক্ষা করেন।

 ১৯৯৪ সালঃ  ডা. এডমুন্ড চেইন কোর্টে FDA কে চ্যালেঞ্জ করেন

ফলশ্রুতিতে  বয়স্কুদের  উপর HGH এর পরীক্ষা করতে কোর্ট অনুমোদন প্রদান করে।

১৯৯৫ সালঃ  ডা. এডমুন্ড চেইন ডাঃ এল ক্যাস টেরি, প্রফেসর অব  নিউরোলোজী সহ সম্মিলিতভাবে আবিস্কার করেন যে,পূর্বেও উচ্চ মাত্রার কিন্ত বেশী সময় পরপর প্রয়োগের বিপরীতে নিন্ম মাত্রার এবং অল্প সময় পরপর HGH এর প্রয়োগ কোনরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেনা।

১৯৯৬ সালঃ  HGH এর ব্যবহার FDA কর্তৃক অনুমোদন ।

১৯৯৭ সালঃ  ব্যবসায়িক ভাবে HGH এর উৎপাদন ও বিক্রয় শুরু।

২০০০ সাল থেকে বায়ো স্প্রে নামে বিশ্বব্যাপী বিপনণ শুরু করে।

হরমোনের অপর্যাপ্ততার কারনে শারীরিক প্রভাবসমূহঃ

১.সংবেদনশীল অঙ্গসমূহ এবং গতি সৃষ্টিকারী ও বোধশক্তির স্নায়ু  সমূহ খারাব হয়ে যাওয়া।

২.হার্ট ও রক্ত পরিবাহিতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৩.বুকের ভিতর ও তলপেটে চর্বি বৃদ্ধি পাওয়া।

৪.ইনসুলিনের পরিমাণ কম ও ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া।

৫. চুলের পরিমাণ কম ও পেকে যাওয়া।

৬.বিশেষ অঙ্গ খাড়া না হবার সমস্যা ও ধ্বজভঙ্গ।

৭.  ব্যাথা ও মাংশপেশী হঠাৎ শক্ত হওয়া এবং হাঁড়ের সন্ধি গুলোর বিকৃতি ঘটা। ( হাঁড় ক্ষয় )

৮. কিডনী, লিভার,হিৃদপিন্ড ও ফুসফুসের কার্যাবলী  ব্যাঘাত ঘটা,রোগ প্রাতরোধ ক্ষমতা নস্ট       হয়ে যায় ফলে টিউমার, ক্যান্সার  সহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়।

৯.চর্ম শুকিয়ে যাওয়া ও ভাঁজ পরে যাওয়া।

হরমোনের অপর্যাপ্ততার কারনে মানসিক প্রভাবসমূহঃ

১.অবসন্নতা।

২. হতাশ হওয়া।

৩. যৌনাকাঙ্খায় উদাসীনতা ।

৪.অসাভাবিক আচারণ।

৫.অমনোযোগিতা।

৬. খিটখিটে মেজাজ, অতিপ্রতিক্রিয়াশীলতা প্রদর্শণ।

৭.মনোভাবের পরিবর্তন।

৮. অসামাজিক, একাকিত্ব।

২.মেলাটোনিন হরমোনঃ

মেলাটোনিন হরমোন পিনিয়াল গ্ল্যান্ড হতে নিঃসৃত হয় যা মানুষের ঘুম এবং  জাগ্রত অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে ।

মেলাটোনিন হরমোন এর কাজঃ

১ ) কোষকে সতেজ করে দেহকে কর্মক্ষম রাখে ।

২) ঘুম এবং জাগ্রত অবস্থা কে নিয়ন্ত্রণ করে ।

৩) ঘুমের মধ্যে দৈনন্দিন শারীরিক প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের কাজে  রিপিয়ার ওয়ার্কেসাহায্য করে ।

৪) Free Radicals এবং Oxidation অপসারণ করে ক্যান্সার এবং টিউমার কোষ প্রতিরোধ করে।

মেলাটোনিন হরমন।

মেলাটোনিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়ঃ

১) মানসম্মত ঘুম হয় না।

২) মানুষ বাক প্রতিবন্ধী হয় । মুখ দিয়ে লালা পরে ।

৩) শরীরে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন জমা হয় এবং টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৪) শরীরে Free Radicals অপসারণ করতে পারে না ফলে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।

৫) শরীরে চুলকানী, একজিমা হয় এবং অকালে চুল দাড়ি পেকে যায়।

৬) প্রসাব ধরে রাখতে পারেনা ইত্যাদি।

৭) মেলাটোনিন হরমোন সমস্যায় বাচ্চাদের ভিতরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন  বাচ্চাদের জন্মের সময়  মেলাটোনিন হরমোনের ঘাটতি হয় বা মাথায় আঘাত লেগে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায় তাদের ভিতর অনেকেরই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তো দেখা যায়। যেমন ঘাড় সোজা করতে পারে না, মাথা ছোট-বড় মেরুদন্ড সোজা করে হাঁটতে পারে না ,বসতে পারে না আধো আধো কথা বলে অনেক প্রতিবন্ধকতা আমরা আশেপাশে দেখতে পাই এবং বায়োটেকনোলজির বায়ো স্প্রে প্লাস  ব্যবহারে বাচ্চাদের ইতিমধ্যে অনেক উপকার পাওয়া গিয়েছে তার প্রমান বিদ্যমান রয়েছে।

বায়ো স্প্রে প্লাস

নিয়মিত অরিজিনাল বায়ো স্প্রে সেবন করুন

বার্ধক্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।

চোখ রাখুন পরবর্তী পোস্টের জন্য ।

লেখাটি আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

 

Leave a Reply