হরমোন কী?
হরমোন হচ্ছে এক প্রকার রাসায়নিক বার্তা বাহক, যাহা মানব শরীরে ব্যবহার হয় বা কাজ করে এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের দ্বারা। হরমোন মানব শরীরের বিভিন্ন অরগানের মধ্যকার যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এদের মধ্যকার সমম্বয় সাধন করে থাকে। এই হরমোন গুলো মানব শরীরের বিভিন্ন গ্ল্যান্ড হতে নিঃসৃত হয়ে থাকে।
হরমোনের অপেক্ষিক গুরুত্বঃ
বর্তমান সময় যে হরমোনাল সমস্যাগুলো হয় তার কারন, নির্দিষ্ট সময়ে যে হরমোন উৎপত্তি হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি, আবার তার কাজ শেষ করে যে অবশিষ্ট হরমোন নিজে নিজে বিনষ্ট হওয়ার কথা ছিল তা শরীরের মাঝে থেকে যায়। আমাদের শরীরের সিস্টেম ঠিক না থাকার কারণে, হরমোন দেহের মাঝে ঠিকমত কাজ করতে পারেনা এটাই হলো রোগের অন্যতম কারন। মানবদেহে ২২০০± হরমোন রয়েছে। তন্মদ্ধে ৮টি হরমোন প্রধান এবং অতিব গুরুত্বপূর্ণ।
হরমোন গুলো হলঃ
- Human Growth Hormone (HGH)
- Melatonin
- Thyroid Hormone
- Insulin
- de·hy·dro·ep·i·an·dros·ter·one (DHEA)
- Estrogen
- Progesterone
- Testosterone
০১. HGH হরমোন
HGH হরমোন জম্মের পর হতে শুরু থেকে সারা জীবনব্যাপী অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানব দেহের মাথার পিছনে অবস্থিত পিটুইটারী গ্ল্যান্ড হতে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়
- মানুষ বৃন্ধ হওয়ার দিতে ধাবিত হয়।
- শিশু অবস্থায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়।
- জন্ম থেকেই হাত/পা বিকলঙ্গ হয়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
- হৃদপিন্ড, কিডনি ও ফুসফুস নষ্ট হয়ে যায়।
- শরীর ক্রমান্বয়ে দূর্বল হয়।
- মস্তিষ্কেও কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
- শরীরের মেদ/ ভুরি বেড়ে যায়।
- হাড় ক্ষয় জনিত রোগ ও চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
- স্মৃতি শক্তি কমে যায় ।
- মানুষ বামন হয়ে থাকে।
০২. মেলাটোনিন হরমোনঃ
মেলাটোনিন হলো পিনিয়াল গ্ল্যান্ড হতে নিঃসৃত এমন একটি পদার্থ যা মানুষের ঘুমের ঔষূধের ভুমিকা পালন করে।
এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়
সঠিক মাত্রায় ঘুম হয় না।
মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি কমে যায়, মানষিক রোগ হয়।
মানুষ বাক প্রতিবন্ধি হয়, মুখ দিয়ে লালা পড়ে।
শরীরে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন জমা হয় এবং টক্সিন থেকে টিউমার হয়।
শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল অপসারণ করতে পারে না, ফলে ক্যন্সার হয়।
শরীরে দাদ, একজিমা হয় এবং অকাণে চুল দাড়ি পেকে যায়।
হাড়ক্ষয় জনিত রোগ হয়, রক্ত নালিতে ব্যাথা হয়।
প্রসাব ধরে রাখতে পারে না।
৪. ইনসুলিন হরমোনঃ
প্যানক্রিয়াসের আইলেটস অ ব লেঙ্গার হেন্স নামক বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন হরমোন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন অত্যান্ত কার্যকরী হরমোন যা রক্তে গ্লুকোজের বিপাকক্রিয়াকে নিয়মানুবর্তী করে এবং কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে।
এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়
► গ্লুকোজ এর বিপাকত্রিয়াকে নিয়মানুবর্তি করতে পারে না।
► রক্তে অধিক মাত্রায় চিনির উপস্থিতি ঘটায় ফলে রক্তে গ্লুকোজ এর ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ডায়াবেটিকস এ আক্রান্ত হয়।
► শরীরের প্রতিটি কোষই শক্তিহীন হয়ে পড়ে।
► শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে না।
► হাত -পা পঁচন ধরে ফলে বিকলঙ্গ হয়ে যায়। ডায়াবেটিসক কে বলা হয় সকল রোগের মা!!
► ডায়াবেটিকস হলে কিডনি, লিভার, হার্ট, ব্রেইন, চোখ ইত্যাদি সকল অরগান রোগাক্রান্ত হয়।
DHEA হরমোন
কিডনির অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ড হতে DHEA হরমোন নিঃসৃত হয়। DHEA হরমোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে প্রধান ভুমিকা পালন করে এবং অন্যান্য হরমোনের কার্যক্রম সচল রাখতে ভূমিকা পালন করে।
এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়ঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
ব্যকটেরিয়া আক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারে না।
লিভার সিরোসিস হয়।
কিডনি ইনফেকশন এর কারনে প্রেসার হাই বা লো হয়।
ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট এ্যাটাক হয় এবং শরীরে যে কোনো অঙ্গ প্যারালাইজড হয়।
থ্যালাসেমিয়া রোগ হয় যা এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সার।
রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে শরীরে টিউমার হয় টিউমার থেকে ক্যান্সার হয়।
শরীর থেকে টক্সিন বের হতে পারে না ফলে শরীরে ঘা হয়ে পঁচন ধরে।
০৬. স্ট্রোজেন হরমোনঃ
মহিলাদের ওভারি হতে স্ট্রোজেন হরমোন উৎপন্ন হয়। স্ট্রোজেন হরমোন মহিলাদের গাইনী বিষয়ক বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে।
এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়ঃ
অনিয়মিত মাসিক, সাদাস্রাব বা লিকুরিয়া রোগ হয়।
হাতÑপা কাঁপা ও জালা–পোঁড়া রোগ হয়,
মেয়েদের অর্শ, পাইলস, গেজ হয়।
মাথার চুল পড়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়।
হাতÑপায়ের তলা দিয়ে অতিরিক্ত ঘাম ঝরে।
জরায়ু ও ব্রেস্ট টিউমার সহ ক্যান্সার হয়।
মুখে ব্রণ উঠে এবং ওজন বেড়ে যায়।
মেয়েদের শরীরে কোমলতা ও লাবণ্যতা কমে যায়।
এই হরমোন পুরুষদের মধ্যে বেশি থাকলে পুরুষ মেয়েদের মতো আচরণ করে।
এস্ট্রোজেন হরমোন এর অভাবে ১–২টা বাচ্চা হওয়ার পর UTRUS কেটে ফেলতে হয়।
০৭. প্রজেস্টেরন হরমোনঃ
মেয়েদের ওভারি হতে এই হরমোন নিঃসৃত হয়। প্রোজেস্টেরন হরমোন মহিলাদের প্রজনন সময়ব্যাপী
জরায়ুর গর্ভধারণের প্রস্তুতি রচনা করে।
এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়ঃ
ওভারি থেকে ডিম্বাণু রিলিজ বা পরিপক্ক হয় না।
অনিয়মিত সাদাস্রাব/ ঋতুস্রাব হয়।
যৌনচাহিদা কমে যায়।
জরায়ুতে ইনফেকশন হয় ও জরায়ু নিচে নেমে যায়।
প্রজেস্টেরন হরমোন এর ঘাটতির কারনেঃ ১) আদৌ বাচ্চা হয় না ২) একটি বাচ্চার হয়ার পর আর হয় না ৩) বাচ্চা কনসেপ্ট করে কিন্তু থাকে না।
এই হরমোনের নিঃসরণ ৬০% এর নিচে নেমে গেলে মহিলাদের মা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
০৮. টেস্টোস্টেরন হরমোনঃ
পুরুষদের টেস্টিস গ্লান্ড থেকে এই হরমোন নিঃসৃত হয়।এই হরমোন পুরুষদের যৌনজীবনকে পরিচালনা করে।
এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়ঃ
পুরুষদের অঙ্গÑপ্রতঙ্গের বর্ধনকে বাধাগ্রস্ত করে।
সময়মত পুরুষের চুল, গোফ, দাঁড়ি গজাতে বাধাগ্রস্ত হয়।
স্বপ্নদোস সহ পুরুষ অঙ্গ তুলনামূলক ভাবে ছোট হয়।
পুরুষ অঙ্গ শক্তি হারিয়ে ফেলে।
শারীরিক দূর্বলতা তৈরী হয় ও যৌন আকাঙ্খা লোপ পায়।
আত্মবিশ্বাস ও স্বরণ শক্তি কমে যায় এবং দ্রুত বৃদ্ধ হয়ে যায়।
মহিলাদের মধ্যে এই হরমোনের আধিক্য হলে গোফ–দাঁড়ি গজায়, ব্রণ হয়, ব্যাথাযুক্ত ঋতুস্রাব এবং পুরুষের নেয় আচরণ করে।
এই হরমোন নিঃসরণ ৬০% এর নিচে নেমে গেলে পুরুষও বাচ্চা জন্ম দিতে পারে না।
Anti-aging
বৃদ্ধ হওয়া থেকে বিরত রাখে।
Increase vitality and brain function
জীবনি শক্তি এবং মস্তিস্কের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
Improve immune system and function
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কার্যক্রম উন্নত করে।
prove cardiac and lung function
কার্ডিয়াক এবং ফুসফুসের কার্যক্রম উন্নত করে।
burning needs now a day.thanks
excellent