একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা হয়েছে অনেক সহজতর, সহজলভ্য এবং আরামপ্রিয়। বর্তমান যুগটাই হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তি হল সেই উপাদান যা বিজ্ঞানের বিশেষ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো যন্ত্র বা প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে জ্ঞান এবং সেটা ব্যবহারের ক্ষমতা অর্জনই । সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান অনস্বীকার্য । প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানুষ আজ পদার্পন করতে পেরেছে চাঁদের মাটিতে। এমন একটি দিন ছিল যখন সৌদি আরবে হজ্ব করতে যাওয়ার জন্য পুরো বিশ্বের মানুষকে প্রচুর অর্থ এবং সময় ব্যয় করতে হতো। যাত্রা শুরু করে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে দিনের পর দিন যাত্রা পথে কষ্ট ভোগ করতে হতো। প্রযুক্তির উন্নয়নে ফলে মানুষ আজ অল্প সময় এবং খরচে তার কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে পারে।
যেখানে কুশল বিনিময়ের জন্য কিংবা তথ্য আদান-প্রদানের জন্য মানুষকে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। মা-বাবা কিংবা আপনজনেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত কখন ডাকে একটা চিঠি আসবে এবং জানতে পারবে প্রিয়জনের সংবাদ। কিন্তু না, সেই কষ্টের শেষ হয়ে গেছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় প্রযুক্তির কারণে মানুষ আজ সেকেন্ডের মধ্যে কুশল বিনিময় এবং তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে।
একসময় একাধিক কাজের জন্য একাধিক যন্ত্রের প্রয়োজন হতো। যেমন কথা বলার জন্য Telephone, আলো জ্বালানোর জন্য Torch, গান শোনার জন্য Radio বা টেপ রেকর্ডার, ছবি তোলার জন্য Camera, হিসাবনিকাশের জন্য Calculator ব্যবহার হতো কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে আজ একটা মাত্র ডিভাইসের মাধ্যমে এতগুলো সুবিধাভোগ করা সম্ভব হয়। শুধু তাই নয় একটি ডিভাইসের মধ্যে সংরক্ষন করে রাখা যায় অনেক অনেক তথ্য উপাত্ত । এতে করে যেকোনো সময় যেকোনো মুহুর্তে প্রয়োজন বোধে মানুষ তৎক্ষণাৎ তথ্যগুলো বের করে অতি সহজে এবং কম সময়ে সেগুলো কার্যে সম্পাদন করে উপকৃত হতে পারে যেটি প্রযুক্তির একটি বিশেষ অবদান।
তাছারাও প্রযুক্তির উন্নয়ের কারণে একাধিক মানুষের কাজ আজ একটি মাত্র মেশিনে করা সম্ভব। তবে প্রযুক্তির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিস্মরণীয় আবিস্কার হল ইন্টারনেট। যার ফলে পুরো বিশ্বের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান এবং যোগাযোগ রক্ষা করা অনেক সহজতর হয়েছে।বর্তমান বিশ্বে সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার সমাদৃত। যেমনঃ
- শিক্ষা ক্ষেত্রে
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে
- যোগাযোগ ক্ষেত্রে
- কৃষি ক্ষেত্রে
- তথ্য ক্ষেত্রে
এখন দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হয় তা হচ্ছে শিক্ষা প্রযুক্তি। এবং এই প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ, প্রশিক্ষন গ্রহণ অনেক সহজ ও সুবিধাজনক হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থিরা অনেক উপকৃত হচ্ছে। বিশেষ করে করোনায় বিশ্ব যখন ক্ষতিগ্রস্থ এবং বিপর্যস্ত এমনকি মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল কিন্তু শিক্ষা দান থেমে যায়নি অনলাইনের মাধ্যমে চলেছে শিক্ষা কার্যক্রম। যেটি হচ্ছে সম্পুর্ন প্রযুক্তির অবদান। ঠিক তেমনি চিকিৎসা ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থায় ও আধুনিকায়ন এসেছে। এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারছে। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। শুধু তাই নয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি জ্ঞান আহরন করে এবং তা ব্যবহার করে সর্বক্ষেত্রে লাভবান হয়েছে ও সাফল্য লাভ করেছে । সুতরাং প্রযুক্তির এ অবদান বিজ্ঞানের এক আশীর্বাদ। বর্তমান বিশ্বে সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার সমাদৃত। তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসাবে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
বর্তমানে পৃথিবীর সকল উন্নয়নশীল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে গিয়েছে। সকল কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি। তন্মধ্যে ইন্টারনেট হচ্ছে বহুল প্রচলিত । বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের সকল কাজ প্ররিচালিত হচ্ছে । পৃথিবীর সকল ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করে সর্বোচ্চ স্থানে পৌচ্ছে গেছে । তেমনি WORLDFAMOUS একটি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে WORLDFAMOUS থেকে আমরা যে সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারি।
১। Affiliate Marketing এর মাধ্যমে খুব সহজে গ্রাহক খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।
২। Digital Marketing এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সহজতর হয়।
৩। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে এবং স্বল্প সময়ে একাধিক মানুষ কুশল বিনিময় করতে পারে।
৪। খুব সহজে পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা সম্ভব হয়।